স্টাফ রিপোর্টার ::
আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ ও ডা. হারিছ আলী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষার সনদপত্র, স্মারক ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টায় যাদুকাটা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি। এই জন্য দেশে শিক্ষার অগ্রগতি হয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা সুশিক্ষা অর্জন করে দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করবে এবং নিজের দেশের উন্নয়নে কাজ করবে।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ জাকির হোসেন বলেন, শিশু শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিভাবকের খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। কারণ শিশুকাল থেকে সঠিক পথে পরিচালিত করলে আগামীতে এই শিশু সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। তিনি বলেন, বৃত্তি হলো প্রেরণা। শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহ বাড়ায়। এটা সংগঠনের একটি মহতী উদ্যোগ। তিনি সকল শিশুর প্রতি অভিভাবকদের যতœবান হওয়ার আহ্বান জানান।
যাদুকাটা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর সভাপতি আহমদ আল কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লেখক ও কবি সুখেন্দু সেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ স¤পাদক ও প্রথম আলো প্রতিবেদক অ্যাড. খলিল রহমান, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান পীর, শিক্ষক নাঈম মোহাম্মদ রুবেল, সহকারী শিক্ষক স্বপন দেব, শান্তা ফারজানা, ডা. আবুল কালাম, সাংবাদিক মোমেন মেহেদী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মো. ছালিক আহমদ সুমন। আলোচনা সভা শেষে বৃত্তি প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। একই সাথে শিশু বিষয়ক বই, স্মারকগ্রন্থ এবং ফলজ, বনজ ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ করা হয়। পরে ১৭ জন অতিথিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
যাদুকাটা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর সভাপতি আহমদ আল কবির চৌধুরী জানান, আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ ও ডা. হারিছ আলী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল পাগলা, বড়কাপন, ছাতক ও সদর, চরমহল্লায়। এসব কেন্দ্রে প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণীর ৫৭৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করে ৪৭৫ জন। পরবর্তীতে অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে বৃত্তির আওতায় আনা হয়।