সংস্কৃতিবান মানুষের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ থাকেনা। তারা মানুষকে মানুষ জ্ঞানে মূল্যায়ন করেন। এই মানুষদের মধ্যে যারা নানাভাবে শোষণ, নির্যাতন, বৈষম্যের দেয়াল রচনা করে, বিচারহীনতা, ধর্মান্ধতা উস্কে দেয় তাদের বিরুদ্ধে জাগরণের ডাক দেন সমাজের সবচেয়ে অগ্রসর জনগোষ্ঠী এই সংস্কৃতিজনরা। তারা সব সময় মাটি ও মানুষের জয়গান গেয়ে থাকেন। মানুষের অপমানে তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাই যথার্থভাবেই বলা যায় সংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমেই মানুষের প্রকৃত মুক্তি সম্ভব।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দৈনিক সুনামকণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদে সংস্কৃতিজন ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী মাহমুদ সেলিম সুনামগঞ্জের কাজীর পয়েন্টে জেলা মহিলা পরিষদের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা উদীচীর বর্ধিতসভায় এই সাহসী উচ্চারণ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি দেশের ঝিমিয়েপড়া সাংস্কৃতিক জাগরণের দিকে দৃষ্টি রেখে বলেছেন, আমাদের সংস্কৃতির চর্চাটা আগের চেয়ে এখন অনেকাংশে কমে গেছে। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়েছে রাষ্ট্র, সরকার, সমাজ ও পরিবারে। এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদেরকে মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে হবে। গান, কবিতা আবৃত্তি, নাচ, নাটক মানুষের মুক্তির পথ দেখাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্মের পথ তৈরি করতে হবে।
আমরাও সমাজের প্রাগ্রসর ও রাষ্ট্র কর্তৃক পুরস্কৃত এই সংস্কৃতিজনের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করি। আমরা মনে করি, সর্বমানুষের মুক্তি সম্ভব সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে। তাই শিকড়ের দিকে দৃষ্টি রেখে আমাদেরকে বিশুদ্ধ সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চায় প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমিক ও মানবিক মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালাতে হবে।