স্টাফ রিপোর্টার ::
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সংগীতশিল্পী ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি মাহমুদ সেলিম বলেছেন, আমাদের সাংস্কৃতির চর্চাটা আগের চেয়ে এখন অনেকাংশে কমে গেছে। কিন্তু একজন বক্তা যখন বক্তব্য দিবেন মানুষকে কিছু বুঝাতে গেলেও তার অনেক সময় প্রয়োজন। কিন্তু একটি তিন মিনিটের গানেই আমাদের মনের সকল কথা বলা সম্ভব। সেজন্য আমাদের সংস্কৃতিরচর্চাটা করা খুব প্রয়োজন। এখন ধীরে ধীরে দেশটা সাম্প্রদায়িকতায় গ্রাস করে যাচ্ছে। তাই সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে মানুষকে মুক্তির পথে নিয়ে যেতে হবে। এটি হতে পারে গানে মধ্য দিয়ে, নাচের মধ্য দিয়ে, আবৃত্তির মধ্য দিয়ে।
তিনি আরও বলেন, আমরা উন্নয়নের সাথে আছি কিন্তু এই দেশের মানুষ উন্নয়নের কথায় কাজ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষের ক্ষুদা নিবারণ সম্ভব হবে। বর্তমান বাজারমূল্য যে রকম হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ এখন হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের ওই সকল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। তাদের উচ্চপর্যায়ের লোকদের বিরুদ্ধেও আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে। এ জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে শহরের কাজীর পয়েন্টস্থ জেলা মহিলা পরিষদের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা উদীচী’র বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথিদের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জ জেলা উদীচীর সভাপতি নারীনেত্রী শীলা রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ স¤পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা খেলাঘরের সভাপতি বিজন সেন রায়, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য, জেলা সিপিবির সভাপতি অ্যাড. এনাম আহমেদ, জেলা উদীচীর সহ-সভাপতি রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, নারীনেত্রী সঞ্চিতা চৌধুরী, জেলা উদীচীর সহ সাধারণ স¤পাদক জহির উদ্দিন, সাংগঠনিক স¤পাদক আসাদ মণি প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উদীচী সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সভাপতি নাহিদ আল নেওয়াজ, উদীচী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সভাপতি স্বপন কুমার বর্মণ, উদীচী শাল্লা উপজেলার সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস, জগন্নাথপুর উপজেলা উদীচী’র সভাপতি সীতেশ গোস্বামী।
সভার শুরুতে সাম্প্রতিক সময়ে মৃত্যুবরণ করা নেতাকর্মী এবং সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া সবার আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন ও শোক প্রস্তাব করা হয়। পরবর্তীতে উদীচী সুনামগঞ্জ জেলা শাখার বিগত সময়ের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।