দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
প্রতিপক্ষের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন দোয়ারাবাজার উপজেলার এক নিরীহ শিক্ষক ও তার পরিবারের লোকজন। সম্প্রতি সরকারি রাস্তার জমিতে অবৈধ বসতঘর, দোকানপাট নির্মাণসহ রাস্তার গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ করায় প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের এরুয়াখাই গ্রামের মৃত মোস্তফা কামালের পুত্র মুহাম্মদ আলী মাসুদ ও তার ছোট ভাই বড়কাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহমদ আলী এবং তার পরিবারের লোকজন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, এরুয়াখাই গ্রামের মৃত আব্দুর শুকুর পুত্র আব্দুল করিম ও মৃত ছায়েদ আলীর পুত্র ফুল মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে স্কুল শিক্ষক আহমদ আলী ও তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে। সম্প্রতি স্কুল শিক্ষকের প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের রেকর্ডীয় জমিতে চাষাবাদে যেতে বাধা দেয় এবং তাদের দখলীয় হালটে থাকা সরকারি রাস্তার গাছ কেটে দিলে দোয়ারাবাজার থানা ও উপজেলা ভূমি অফিসে প্রতিকার চেয়ে শিক্ষক আহমদ আলী ও তার ভাই মোহাম্মদ আলী দুইটি পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলা ভূমি অফিসের তহশীলদার সরেজমিনে তদন্ত করেন। এরই জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে নিরীহ শিক্ষক ও তার পরিবারের লোকজনকে ধাওয়া এবং মারধর করতে উদ্যত হয়। পরে স্থানীয়রা এসে উভয়পক্ষের হট্টগোল থামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শিক্ষক আহমদ আলী বলেন, প্রতিপক্ষ আব্দুল করিম ও ফুল মিয়ার বাড়ির পাশেই আমাদের রেকর্ডীয় জমি। আমার পরিবারের লোকজন সেখানে চাষাবাদ করতে গেলেই তারা বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় এবং বাধা বিপত্তি সৃষ্টি করে। আমাদেরকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকিও প্রদান করা হয়েছে। আমরা এখন পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফুল মিয়া ও আব্দুল করিম এসব অভিযোগ সত্যি নয় বলে জানান।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা শিব্বির আহমদ জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করেছি। সরকারি রাস্তা থেকে অবৈধভাবে গাছ কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল হাসান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।