স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন, বিত্তবৈভব জৌলসে ঢাকায় প্রাসাদ নির্মাণ করে বসবাসের জন্য পদপদবী ব্যবহার করিনি। বাড়িগাড়ির মালিক কিংবা বিত্তশালী হতে আমি আমার এমপি পদ কাজে লাগাইনি। এই এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
বুধবার বিকেলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দুলভারচর পরগণার বাজারে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নিয়ামতপুর সড়ক সংস্কারকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে আবুয়া সেতু নির্মাণ ও একনেক সভায় সজনা সেতু নির্মাণকাজ অনুমোদন হওয়ায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে তাকে দেয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ আরও বলেন, আমার সময়কালে নির্বাচনী এলাকায় সর্বোচ্চ উন্নয়ন হয়েছে। যা ইতোপূর্বে আর কেউ করতে পারেনি। রাস্তাঘাট, সেতু, অবকাঠামো, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সমস্যার সমাধান করেছি। আমাদের আরও উন্নয়ন কাজ বাকি। কেননা এই ভাটি এলাকার মানুষ বছরের পর বছর উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল। আরও কাজ প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জ সদরে অনেক বড় বড় প্রকল্প দিয়েছেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। আগামীতে জনগণ সুযোগ দিলে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবো।
ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদের সভাপতিত্বে ও জাতীয় পার্টি নেতা এরশাদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন মনির, গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন, দক্ষিণ বাদাঘাট ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদ আহমদ, সদর উপজেলা জাতীয়পাটির সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান সাজু। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিলদার মুরশেদ, সদস্য সচিব আব্দুল কাদির, জাতীয় পার্টি নেতা আব্দুল মান্নান, আব্দুল কদ্দুস, রফিকুল ইসলাম আলাল, জহুরুল ইসলাম, সাজিদুর রহমান সাজিদ, সাবেক ইউপি সদস্য মনশুরনূর চৌধুরী প্রমুখ।