দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
দোয়ারাবাজারে এক ইউপি সদস্য দুই পক্ষের সালিশি করতে গেলে একপক্ষ কর্তৃক মারধরের হুমকি এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গিরিশনগর গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী গিরিশনগর গ্রামের বাসিন্দার বলেছেন, সম্প্রতি উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গিরিশনগর গ্রামের আব্দুর রশীদের কয়েকটি হাঁস হারিয়ে গেলে দুইদিন পর সন্ধান পাওয়া যায় একই ইউনিয়নের টেংরাটিলা গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের পুত্র আব্দুল মোতালিবের বাড়িতে। খোঁজ পেয়ে আব্দুর রাশিদের মেয়ে হাঁস আনতে গেলে আব্দুল মোতালিবের স্ত্রী ওই মেয়েকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়ার কাছে বিচার প্রার্থী হলে তিনি বিষয়টি সালিশির মাধ্যমে দেখে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরইমধ্যে ওইদিন রাতেই আব্দুল মোতালিব তার স্বজনদের নিয়ে রাশিদের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করেন। এসময় ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়াসহ আরেক ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন টেংরাবাজারে ছিলেন। তখন মোতালিবের ভাতিজা আবুল কালাম ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়াকে দ্রুত রাশিদের বাড়িতে আসতে ফোন দেয়। পরে দুই ইউপি সদস্য রাশিদের বাড়িতে আসলে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোতালিব ও তার স্বজনরা লাঠিসোটা নিয়ে ইউপি সদস্যের দিকে তেড়ে আসে এবং তাকে মারধর করতে উদ্যত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করেন। গ্রামবাসীরা বলেছেন, ইউপি সদস্য কেন তাৎক্ষণিক বিচার করে দেননি এ জন্য তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে আমরা গ্রামবাসীরা এসে তাদেরকে সরিয়ে দেই।
ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়া বলেন, আমি সালিশে বিষয়টি দেখে দেওয়ার কথা বলায় ডেকে এনে আমাকে মারধর করতে আসে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। তারা এখন উল্টো তাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে জড়িয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তারা যেকোনো সময় আমার উপর চড়াও হয়ে বড় ধরনের আক্রমণ চালাতে পারে।