স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের ২০২১-২২ অর্থ বছরের ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের ভিজিডি কার্ডের সঞ্চয়ের টাকা দীর্ঘ সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো ফেরত না পাওয়ায় মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বুধবার দুপুরে উপজেলার শহীদ মিনারের সামনে ৫নং ওয়ার্ডের উপকারভোগীদের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মুক্তারপুর গ্রামের উপকারভোগী নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মনি রাণী দাশ, আয়েশা বেগম, স্বপ্না রাণী দাশ, ঝুলন রাণী পুরকায়স্থ, হেপি রাণী দাশ, সুমনা রাণী দাশ, রুমা রাণী দাশ, মালঞ্চ রাণী দাশ প্রমুখ। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের দরিদ্র্যদের জন্য ভিজিডি তালিকাভুক্ত উপকারভোগীরা। পরে একটি মৌন মিছিল উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারের সামনে এসে শেষ হয়।
এ বিষয়ে জানতে বাহাড়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, মানববন্ধন হয়েছে আমি শুনেছি। উপকারভোগীরা এর আগেও আমার কাছে এসেছিলেন। আমি সাবেক চেয়ারম্যান বিধান চৌধুরীর সাথে কথা বলেছি। তিনি বলছেন উপকারভোগীর টাকা ফেরত দিয়ে দিবেন। যেহেতু বলার পরেও টাকা দেননি এখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপকার ভোগীদের ভাষ্যমতে, ২০২১- ২০২২ অর্থ বছরে ২বছর মেয়াদী ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অতিদরিদ্র মহিলাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল। প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হতো। উপকারভোগীদের নিকট থেকে নেয়া হতো ২শ’ টাকা করে সঞ্চয়। তাদের জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকা মেয়াদ শেষে ফেরতে দেওয়া কথা। কিন্তু টাকা দিই দিচ্ছি করে দফায় দফায় সময় নেন বাহাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিধান চৌধুরী।
জানা যায়, ওই ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের ৯৮ জন নারীর দুই বছরে জনপ্রতি জমা ৪,৮০০ টাকা। ৯৮ জন নারীর মোট টাকা ৪ লাখ, ৭০হাজার ৪শ টাকা।