স্টাফ রিপোর্টার ::
বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) কার্যালয়ের উদ্যোগে ২য় দিনের খাদ্যভিত্তিক পুষ্টি (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী শহরের মল্লিকপুরস্থ বারটান আঞ্চলিক কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। একই সাথে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মোট ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণে অংশ নেন। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অঞ্চল প্রধান মো. মুশফিকুছ সালেহীনের তত্ত্বাবধানে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষক ছিলেন জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, জেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান রিপন ও বারটান আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নুরুন নবী।
প্রশিক্ষণে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ইমাম ও পুরোহিত, মৎস্য কর্মকর্তা, প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, কৃষাণ-কৃষাণী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মাঠকর্মী, এনজিও কর্মীরা অংশ নেন। এ সময় বারটানের কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষকেরা প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাবারে শক্তিদায়ক খাবার, বৃদ্ধিসাধন ও ক্ষয়পূরণকারী খাবার, রোগ প্রতিরোধক খাবার, অপুষ্টিজনিত রোগসমূহের প্রতিকারক খাবার নিয়ে আলোকপাত করেন।
প্রশিক্ষকগণ বলেন, শিশু ও নারী-পুরুষের বয়স অনুপাতে উচ্চতা বৃদ্ধি ও ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। নিজেদের বয়স, উচ্চতা হিসাব করে নিজেরাই দেখতে পারেন আপনি কয় কেজি বাড়তি ওজন নিয়ে ঝুঁকিতে আছেন। পুষ্টিকর খাদ্য খেয়ে ওজন বাড়াতে পারেন বা কমাতে ও পারেন। তাঁরা বলেন, সময়মত খাবার গ্রহণের পর ফল খাবেন। আগে ফল খেলে এসিডিটি বা গ্যাস হতে পারে। নিরোগভাবে বেঁচে থাকতে হলে মানুষকে অবশ্যই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।
তাঁরা বলেন, প্রতিদিন ভাত কম খেয়ে আলু ও মুখি খেতে পারেন। সাথে প্রতিদিন সকালে, দুপুরে ও রাতে একটি করে ডিম খাওয়া খুবই প্রয়োজন। সুস্থ শরীর থাকলে প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫টি করে ডিম খেতে পারবেন। উচ্চরক্তচাপ হলে একটি খেতে পারেন। বিকালের নাস্তা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
শিশুদের বিষয়ে তাঁরা বলেন, শিশুরা খাবার খেতে চায় না। এটা সকল শিশুদের বেলায় কমবেশি এই অভ্যাস রয়েছে। যখন শিশুরা খাবার খায়, তখন খাবার চাপিয়ে দেবেন না। তখন তাদের মনে খাবারের প্রতি বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রশিক্ষকগণ বলেন, দুধ সকল বয়সের সবাই খেতে হবে। অন্তত সপ্তাহে একদিন হলেও দুধ খেতে হবে। পাকস্থলিকে অন্যান্য বড় রোগের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে যে জীবাণু আছে, সে জীবাণু দুধ খেয়ে বেঁচে থাকে। দুধ না খেলে মরে যায়, পরে পাকস্থলিতে বড় বড় রোগে আক্রমণ করে।
প্রশিক্ষকগণ আরও বলেন, আমরা যে দৈনন্দিন খাবার খাই তা দিয়েই ওষুধ তৈরি হয়। ওষুধ না খেয়ে আমরা নিরাপদ খাবার খাই। রোগ সেরে যাবে। তাঁরা বলেন, খাবার গ্রহণের পরে কমপক্ষে ১ ঘণ্টা পায়চারি করে তারপর ঘুমিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রতিদিন ঘুম পুরিয়ে ভোররাতে উঠে বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করতে হবে। তবেই সুস্থ থাকতে পারবেন।