স্টাফ রিপোর্টার ::
নানা কারণে বিতর্কিত তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেনকে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন্সওয়ারে বদলি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে তাহিরপুর থানা থেকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সওয়ারে বদলি করা হয়। একই আদেশে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন্স হাপাতালের ইনচার্জ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনকে তাহিরপুর থানার নতুন ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। আদেশে জনস্বার্থে অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডমিন) মোহাম্মদ আবু সাঈদ বুধবার রাতে সুনামকণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, সৈয়দ ইফতেখার হোসেন গেল বছরের ২৭ আগস্ট তাহিরপুর থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন। থানায় যোগদান পরই তিনি নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে তুমুল সমালোচনার মধ্যে পড়েন। এরমধ্যে তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটায় অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন ও থানা পুলিশের সরাসরি সম্পৃক্ততার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। তার এই কর্মকাণ্ডনিয়ে উপজেলার মাসিক আইনশৃংখলা সভায় উপস্থিত সুধীজনসহ উপজেলার ৩ ইউপি চেয়ারম্যান বক্তব্য রাখেন। এতে আইনশৃংখলা সভায়ই জনপ্রতিনিধিদের তোপের মুখে পড়েন ওসি। গত ১৯ জুলাই দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাহারাম ও যাদুকাটা নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিষয়ে কথা উঠলে উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন সিন্ডিকেটের সাথে তাহিরপুর থানার ওসি সরাসরি জড়িত রয়েছেন।
ওই সভায় তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন খান বলেন, রাতের আঁধারে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকালে থানার দারোগারা ব্যাগ হাতে নিয়ে টাকা তুলেন। বালি উত্তোলন সিন্ডিকেটের সাথে যদি তাহিরপুর থানা পুলিশের একাত্মতা না থাকতো তাহলে এ কাজ কখনোই সম্ভব হতো না। এ সময় বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন তাহিরপুর থানার ওসি ইফতেখার হোসেনকে অযোগ্য আখ্যায়িত করে বলেন, যাদুকাটা নদীতে দিনে ও রাতে প্রকাশ্যে নদীর পার কেটে বালি উত্তোলন চলছে। যা আমরা অন্য কোনো ওসির আমলে দেখিনি। এতে প্রমাণ হয় যে বালি উত্তোলন সিন্ডিকেটে ওসি জড়িত রয়েছেন। তবে ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে নানা কারণেই বার বার মিডিয়ায় শিরোনাম হন ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।