আকরাম উদ্দিন ::
ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়ক সংস্কারকাজের ফলক উন্মোচনের প্রায় চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও সংস্কারকাজ শুরু হয়নি। এতে সড়কে চলাচলকারী দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ নানা দুর্ঘটনা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে শুরু করে ছাতক-দোয়ারা সড়কের পাশে মুরাদপুর, মাজেরগাঁও, মঙ্গলারগাঁও, নৈনগাঁও, বেতুরা লক্ষ্মীবাউর প্রভৃতি গ্রামের পাশে সড়কে রয়েছে ছোট ও বড় আকারের অসংখ্য ভাঙন। বৃষ্টির দিনে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়। এই সড়ক প্রতিদিন দুই উপজেলার লাখো মানুষ আসা-যাওয়া করেন। শিশু, বয়স্করা এবং রোগীরা হেঁটে বা যানবাহনে চলাচল করতে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী যানবাহনের প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুত সড়ক মেরামতের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা কবির মোহাম্মদ সায়মন বলেন, এই সড়কে ২০ বছরের মধ্যে কোনো কাজ হয়নি। এবার ফলক উন্মোচনের পর আরও চলে গেলো প্রায় ৪ মাস। এবার যদি তাড়াতাড়ি কাজ হয় তবে আমরা কিছুটা শান্তি পাবো।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এই ভাঙা সড়কে জরুরি প্রয়োজনে দুই উপজেলার মানুষ আসা-যাওয়া করেন। গাড়িতে চলাচলে শিশু, বয়স্ক পুরুষ- মহিলা ও রোগীরা মারাত্মক কষ্টে পড়েন। সড়কে প্রায়ই নানা দুর্ঘটনাও ঘটে। এই সমস্যা সমাধানে সড়কের দ্রুত মেরামত প্রয়োজন।
সিএনজি চালক শহীদুল ইসলাম জানান, ছাতক থেকে দোয়ারাবাজার প্রতিদিন ১০/১২ বার আসা-যাওয়া করেন তিনি। চলাচলের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়েন। সড়কের দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তিনি।
চলতি বছরের ২৬ মে ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়ক মেরামত ও পুনর্বাসন কাজের ফলক উন্মোচন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। এরপর কাজ শুরু হতে অতিবাহিত হয়েছে প্রায় চার মাস।
সুনামগঞ্জ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়িত ছাতক-দোয়ারাবাজার ১৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে ২৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
সুনামগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির জন্য ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের কাজ করতে দেরি হয়েছে। অবশ্য আগামী সপ্তাহের মধ্যে সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হবে।