স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাইয়ে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাদরাসা পড়–য়া আপন ভাতিজাকে সন্তানদের নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন এক চাচা। ইমরান আহমদ (১২) নামের ওই শিশুকে গত মঙ্গলবার তার চাচা উপজেলার টংগর গ্রামের বাসিন্দা আবুল খায়ের ও তার ছেলেরা মিলে ওই শিশুর বাবা আবুল কাশেম ও তার বোন রিনা বেগমকে বেদম মারপিট করে তারা। বুধবার ইমরান হোসেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার টংগর গ্রামের মৃত দিয়ানত উদ্দিনের ছেলে আবুল খায়ের ও আবুল কাশেমের মধ্যে বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে ঝগড়া হয়। এসময় আবুল খায়ের ও তার ছেলেরা আবুল কাশেম ও তার ছেলে ও মেয়েকেও বেদম মারপিট শুরু করে। তাদেরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমরান মারা যায়। ইমরান স্থানীয় একটি মাদরাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ালেখো করতো।
নিহত ইমরানের পিতা আহত আবুল কাশেম বলেন, আমি দিরাই বাজারের একটি হোটেলে কাজ করি। বসতঘরের সীমানা নিয়ে আমার ভাইয়ের সাথে দ্বন্দ্ব ছিল। মঙ্গলবার আমি বাড়িতে গেলে আমার ভাই, ভাতিজা, ভাগনা মিলে আমার বসতঘরে এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। তারা আমার নিষ্পাপ ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি খুনীদের বিচার চাই।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মুক্তাদির হোসেন বলেন, টংগর গ্রামের দুই সহোদরের মধ্যে বসতঘরের সীমানা নিয়ে মারামারিতে একটি ছেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার বিকেলে মারা গেছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা করছে। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।