সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের সাংবাদিকদের একটি ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে প্রেস কাউন্সিল। যার কার্যক্রম চলমান। সাংবাদিকরা নিজ নিজ পত্রিকা হাউজ থেকে সাধারণত পরিচয়পত্র পান। তবে প্রেস কাউন্সিলের পরিচয়পত্র হবে স্বতন্ত্র ও মূল্যবান পরিচয়। যাতে করে সাংবাদিকদের নিজস্ব একটা পরিচয় তৈরি হবে।
বৃহ¯পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের মানোন্নয়নের জন্য প্রেস কাউন্সিল বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলছে। এরইমধ্যে ৩২টি জেলা থেকে সাংবাদিকদের তালিকা পেয়েছি, সেগুলো যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। আশা করছি দ্রুত বাকি জেলাগুলো থেকেও আমরা তালিকা পেয়ে যাবো। এছাড়া আমরা সব মিডিয়া হাউজ থেকেও সাংবাদিকদের তালিকা চেয়েছি।
বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছিলেন। তিনি সাংবাদিকবান্ধব ছিলেন, তিনি চাইতেন না কোনো সাংবাদিকের হাতে যেন হাতকড়া পরে। তিনি বলতেন, একজন সাংবাদিক সমাজের যেকোনো শ্রেণির থেকে উচ্চতর শ্রেণির। ওই সময় ম্যাজিস্ট্রেটদের থেকে সাংবাদিকদের বেতন বেশি ছিল।
তিনি আরও বলেন, প্রেস কাউন্সিলে নতুন কেউ তালিকাভুক্ত সাংবাদিক হতে চাইলে তাকে ¯œাতক পাস হতে হবে। তবে কারও যদি সাংবাদিকতায় ৫ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা থাকে সেক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল থাকবে।
মিডিয়া হাউজগুলো যাতে ওয়েজবোর্ড মেনে সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা দেয় সে ব্যাপারে আমরা তাদের বলেছি এবং একইসঙ্গে তারা যদি এ নির্দেশনা না মানে তাহলে তাদের সুবিধাদি বন্ধ করার জন্য সরকারকেও আহ্বান জানিয়েছি। আমরা আশা করছি ক্রমে এগুলো বাস্তবায়ন হবে।
প্রেস কাউন্সিল আইন স¤পর্কে তিনি বলেন, আমরা কিছু সংশোধনী নিয়ে এসেছি। শিগগির সংসদে এ আইন পাস হবে। বিদ্যমান আইনে ১০ লাখ টাকা জরিমানার বদলে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। বিলটি সংসদে তোলা হবে। পাস হলে সাংবাদিকদের হয়রানি অনেকাংশে কমবে।