সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ডিমের দাম প্রতি পিস ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। একইসঙ্গে ডিম আমদানির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি এ কথা জানানোর পাশাপাশি আরও বলেছেন, ডিম প্রথমে অল্প পরিমাণে আমদানি করা হবে। এরপরও যদি দাম না নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ব্যাপক আকারে আমদানি করা হবে। ডিম ছাড়াও পেঁয়াজ ও আলুর দাম নির্ধারণ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা হওয়ায় আমরা এ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। প্রতি পিস ডিম এখন থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করা হবে। প্রাণিস¤পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডিম আমদানির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি বলেন, বাজার পর্যালোচনা করে সীমিত আকারে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। যদি ডিম প্রতি পিস ১২ টাকায় খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করা হয়, তাহলে আমদানির বিষয়টি অতো গুরুত্ব পাবে না, সীমিত আকারে করা হবে। কিন্তু দাম ১২ টাকায় সীমিত না থেকে বাড়ানো হয়, কিংবা সুযোগ নেওয়া হয়, তাহলে বেশি করে আমদানি করা হবে। বাজার ঠিক রাখার জন্যই আমদানি করা হবে।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিকার থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) বাজার মনিটরিং করবেন। জেলা-উপজেলাসহ বড় বড় শহরগুলোয় এই মনিটরিং চলবে। আজকের ঘোষণার পরে সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজ স্টোর করার সুবিধা নেই। কিন্তু ডিমের ক্ষেত্রে বড়ো সুবিধাটা রয়েছে। সেটা হলো ডিম আমরা আমদানি করতে পারবো। এতে বাজারের বাড়তি দামের প্রভাবটা কমানো সম্ভব। ডিমের দাম যে ১২টাকা ঠিক করা হয়েছে, এটি খুবই ন্যায্য। কোনো অবস্থাতেই এটা কম না, যথেষ্ট ভালো দাম।
ডিম কি আজ থেকেই আমদানি করা হবে? জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজ থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি; আমাদের কাছে চারটি আবেদন পড়েছে। তবে আমরা আজ বা কাল থেকেই ডিম আনবো সে কথা বলতে চাই না। যেহেতু আমরা ১২ টাকা দাম নির্ধারণ করলাম, এখন আমরা দেখতে চাই এই দাম কার্যকর করে কিনা। যদি দেখা যায় এই দাম চলছে তাহলে আমরা আমদানি করবো। দাম না কমলেও কিছু ডিম আমদানি শুরু করে দেব। সেটা করতে তিন চার দিন সময় দরকার হবে।