বিশ্বম্ভরপুর প্রতিনিধি ::
বিশ্বম্ভরপুরে মেয়ের জামাইয়ের হাতে শ্বশুর খুন হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের দিঘলবাক গ্রামে। নিহত মো. আব্দুল মোতালেব (৫৫) ওই গ্রামের মৃত ছমেদ আলীর পুত্র।
নিহতের স্বজনরা জানান, ২০১২ সালের দিকে মথুরকান্দি গ্রামের মৃত রইছ মিয়ার ছেলে মো. আব্দুস সাত্তার পলাশ ইউনিয়নের দিঘলবাক গ্রামের মো. আব্দুল মোতালেবের মেয়ে আকলিমা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ে পর তাদের সংসারে ৪টি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে এবং আকলিমা বর্তমানে ৭ মাসের অন্তসত্ত্বা। কিন্তু বিয়ের পর থেকে স্বামী আব্দুস সাত্তার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জেনে যাওয়ায় সে তার স্ত্রীর ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আকলিমা বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। সোমবার রাতে আব্দুস সাত্তার তার শ্বশুর বাড়িতে আসে এবং তার স্ত্রী এবং সন্তানদের নিজ বাড়িতে নেয়ার বাহানা করে। কিন্তু তারা এতে রাজি না হওয়ায় সে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মেয়ে জামাই আব্দুস সাত্তার তার শ্বশুর আব্দুল মোতলেবকে টেনেহিঁচড়ে ঘরের বাইরে এনে মাটিতে ছুড়ে ফেলে। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল মোতালেবের মৃত্যু হয়। তখন জামাই আব্দুস সাত্তার মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।