1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

‘মুখ চিনে মুগের ডাইল’ নৈবচ

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 

গত শনিবার (৯ সেপ্টেস্বর ২০২৩) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি উপসম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, “এর আগেও ড. ইউনূস শ্রমিকদের পাওনা থেকে বঞ্চিত করার জন্য, কোর্টের বাইরে সমঝোতা করার জন্য আইনজীবীদের সাথে অস্বাভাবিক অংকের টাকা লেনদেন করেন। এই ঘটনার তদন্ত নিয়েও একটি মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন আছে। এখন সচেতন মানুষেরা প্রশ্ন করছেন, ড. ইউনূস যদি অন্যায় নাই করে থাকেন, তাহলে কেন কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে মামলাকে প্রভাবিত করবার চেষ্টা করছেন? কেন বেআইনীভাবে ইনফ্লুয়েন্সার কো¤পানি নিয়োগ করে ঘুষ দিয়ে বিচারক, মন্ত্রী, সচিবদের প্রভাবিত করতে চাচ্ছেন? কেনই বা শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ নিজের পক্ষে আনতে কোটি টাকা খরচ করছেন? এর একটাই অর্থ দাঁড়ায়, ড. ইউনূস এবং উনার প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকম আসলেই আইনের ব্যত্যয় করছেন। বেআইনীভাবে শ্রমিকদের অধিকার হরণ, ড. ইউনূস নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি, বিদেশি কানেকশন ব্যবহার করছেন। তার মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে বন্ধুদের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবিত ঋণ বাতিল করিয়েছেন। সরকারকে চাপ দিয়েছেন। এ থেকেই আসলে বোঝা যায় তিনি কতটা আদর্শিক, কতটা নীতিবান।”
সম্পাদকীয়র ক্ষেত্রে একরকম দীর্ঘ বলে বিবেচিত এই উদ্ধৃতির পর ‘মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন’ ঘোষণা দিয়ে বক্তব্যের যবনিকাপাত করাই যায় এবং বোধ করি কারও কারও মতে সেটা খুব একটা অবিবেচনার কাজও হবে না, বরং উত্তম বিবেচিত হতে পারে। কিন্তু আমরা ভিন্নমত পোষণ করি এবং এই ভিন্নমত বিশ^বিখ্যাত সুদখোর ও অনৈতিক উপায়ে দেশের সাধারণ মানুষের সম্পদ আত্মসাৎকারী ড. ইউনূসের ও তার মতোদের বিপক্ষে অবস্থানের নির্দেশিকা। আসলে কথা যা বলবার তা হলো ড. ইউনূস একা নন, এই দেশে তাঁর মতো অনেকেই আছেন, যাঁরা এই দেশের মানুষের শ্রমঘামে সৃষ্ট সম্পদ অনৈতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে বেআইনিভাবে ও সামন্তবাদী জমিদারি কেতায় আত্মসাৎ করে নিয়ে দেশেবিদেশে বিপুল সম্পদ সঞ্চয় করেছেন এবং বিপরীতে ক্ষমতার বাইরে পড়ে থাকা দেশের সাধারণ মানুষের অবস্থা হয়েছে অক্টোবর বিপ্লবপূর্ব রাশিয়ার সেই ভূমিদাসের মতো, যাকে জমিদার চাবুক মারতে মারতে মেরেই ফেলেছে। তার অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, ‘বেচারি মার খেয়ে পড়ে আছে বেঞ্চির ওপর। নড়ে না, চড়ে না। পিঠ কিছুটা খোলা। পিঠ ত নয়Ñ রক্তমাখা গরুর জাব।’ এরকম নির্যাতক একজন ইউনূসকে শায়েস্তা করে দিলেই সবকাজ হয়ে যাবে না, দেশ থেকে দুর্নীতি উবে যাবে না, প্রাতিস্বিক মালিকানায় বিপুল সম্পদ সঞ্চয়ের অন্যায় আর্থনীতিক প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে না, দুর্বৃত্তের রাজনীতির জমিদারি চলতেই থাকবে এবং কবিরা কবি আবুল হাসনের মতো তাঁদের কবিতায় বলতেই থাকবেন, ‘দালান ভাঙছে দালান উঠছে তাও রাজনীতি’ আর কবি মুতাসিম আলী লিখবেন, ‘ফসলের মাঠ জুড়ে দাঁড়াচ্ছে একেকটি সোমত্ত বাড়ি’।
চলমান ইতিহাসের এই পর্বেÑ একবিংশ শতাব্দীর মানুষের উপর কাঠামোগত সহিংসতা আরোপের প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত বর্ধিত হারে শোষণ-নির্যাতনের আর্থরাজনীতিক চাবুক চালিয়ে আর কতকাল দীর্ঘ করা হবে এই বিমানবিকরণের দুর্নীতিনির্ভর জনশাসন? এই প্রশ্ন আজ সাধারণ মানুষের মনে উত্থিত হয়েছে। এই বিব্রতকর অবস্থার অবসান চাই। উপরে উক্ত রাশিয়ার ভূমিদাস হত্যাকারী জমিদারকে বিদ্রোহী কৃষকদের নেতার আদেশে গাছে লটকে হত্যা করা হয়েছিল। কৃষকদের একজন প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘ভালো হবে কি, অবুঝ শিশু যদি অপরাধ নেয়?’ জমিদারের শিশুকন্যা পিতার প্রাণভিক্ষা চেয়ে পায় নি। নিতান্ত শিশু জমিদারকন্যাকে লক্ষ্য করে কৃষক সর্দার বলেছিলেন, ‘বড় হোক বুঝবে, অপরাধ নেবে না। লটকে দে।’ এখন সময় এসেছে, এইভাবে ড. ইউনূসের মতো একে একে প্রত্যেক অপরাধীকে লটকে দিতে না পারলেও অন্তত কঠোর হস্তে দমন করা চাই। মনে রাখতে হবে, দুর্বৃত্তের কোনও রাজনীতিক পরিচয় নেই, তার একটাই পরিচয়Ñ প্রতিষ্ঠিত লুটেরা অর্থনীতির পরিসরে সাধারণ মানুষের সৃষ্ট সম্পদের আত্মসাৎকারী। সুতরাং ‘মুখ চিনে মুগের ডাইল’ পদ্ধতি অনুসরণ নৈবচ।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com