স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী (বীরেন্দ্রনগর) তিন শুল্ক স্টেশনের কয়লা ও চুনাপাথরবাহী নৌযান থেকে টোল আদায়ের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়ে গতকাল রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হাজি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার।
জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাবেক আহ্বায়ক শামসুল হক, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, আমদানিকারক মো. জিয়াউল হক, হাজী ফরিদ গাজী, হাজী ছিদ্দিক মিয়া, জাহের আলী, হাজী নুর মিয়া, আবুল খায়ের, হাছান মিয়া, বাগলী কয়লা-চুনাপাথর সমিতির সভাপতি খালেক মোশাররফ, সাবেক সভাপতি শাহজাহান খন্দকার, মো. নুরুজ্জামান, আলী হোসেন প্রমুখ।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী (বীরেন্দ্রনগর) – এই তিন শুল্ক স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে আমদানিকৃত কোটি কোটি টাকার কয়লা ও চুনাপাথর নৌপথে দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ করা হয়। গত দুই-তিন মাস ধরে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে সরকারি খাস কালেকশন (কোর্টগারী) এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে চলন্ত নৌকা থেকে বিআইডব্লিউটি-এর নামে উপজেলার পাটলাই নদীতে স্থানীয় দুটি গ্রুপ প্রতিটি ১২০-৩০০টন কয়লা ও চুনাপাথর পরিবহনকারী বাল্কহেড নৌকা থেকে ১ থেকে ২ হাজার টাকা টোল আদায়ের স্থলে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে জোরপূর্বক টোল আদায় করছে। শুধু তাই নয় তাদের দাবিকৃত টাকা পরিশোধ না করলে নৌকা আটকে রাখাসহ নৌ শ্রমিকদের মারপিট করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে আমদানিকারক, নৌ মালিক ও ইজারাদারের লোকজন একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেও কোন ধরনের সমাধান না হওয়ায় শনিবার সকালে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ এক জরুরি সভা ডেকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তিন শুল্ক স্টেশনে অনির্দিষ্টকালের জন্য কয়লা-চুনাপাথর বিক্রি ও পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করে। আবেদনে আরও বলা হয়েছে, বেপরোয়া চাঁদাবাজির ফলে এ তিন শুল্ক স্টেশনের কয়লা-চুনাপাথর পরিবহনে কোন নৌযান আসতে চায় না। এতে করে আমদানিকারকগণ তাদের আমদানিকৃত কয়লা-চুনাপাথর বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে শুল্ক স্টেশনগুলোর আমদানিকারকগণ ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সেই সাথে সরকারও হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। অবিলম্বে এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করে আমাদনিকৃত কয়লা-চুনাপাথর সারাদেশে নিরাপদে পরিবহনে পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি দ্রুত তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।