1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

এ দেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলতে কিছু নেই : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
হিন্দুদের সংখ্যালঘু না মনে করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আপনারা কেন নিজেদের সংখ্যালঘু বলেন? এ দেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলতে কিছু নেই। বরং বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করে। নিজেদের সংখ্যালঘু বা দুর্বল মনে করবেন না। তাছাড়া আপনারা কেন এমনটা মনে করেন, যেখানে আপনারা এ দেশেরই মানুষ?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই মাটিতে জন্মেছে তারা এই মাটিরই সন্তান এবং এ দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের সব ধরনের অধিকার রয়েছে। তাই আপনারা (হিন্দু স¤প্রদায়ের মানুষ) সব অধিকার নিয়েই এ দেশে বাস করবেন।
বৃহ¯পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার উদযাপিত জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা আমাদের মাতৃভূমিকে এগিয়ে নিতে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবো। আমরা আমাদের জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো।
এ সময় তিনি দেশে ধর্মীয় স¤প্রীতি বিনষ্টের যেকোনও পদক্ষেপ এবং জাতির অগ্রগতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার স¤পর্কে সবাইকে সর্বদা সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্মার্ট সরকার, স্মার্ট দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সোসাইটি নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আরও এগিয়ে যাবে। কারণ, তার সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইতোমধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংবিধান সংশোধন করে সব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জনগণের সাম্প্রদায়িক স¤প্রীতি ও অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে সব ধর্মের অধিকার রক্ষা ও ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা সংক্রান্ত সব অনুচ্ছেদ বাতিল করেছিলেন। তিনি বলেন, জিয়া সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বাতিল করে দেন, যা আমাদের ধর্মীয় নিরপেক্ষতাকে নিশ্চিত করেছিল। শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে প্রতিটি ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব স্বাধীনভাবে পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী হিন্দু স¤প্রদায়কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, দেশটি সবার। কারণ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সর্বদা বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বজায় রাখার এবং এমন একটি সামাজিক স¤প্রীতি বজায় রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে, যেখানে একজন আরেকজনের অধিকার ক্ষুণœ করবে না এবং সব মানুষ সমান অধিকার উপভোগ করে জীবনযাপন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি সব জায়গায় কিছু স্বার্থান্বেষী লোক আছে, যারা কিছু সমস্যা তৈরি করতে চায়। কেউ যেন কোনও সমস্যা তৈরি করতে না পারে, সবাইকে সেদিকে নজর দিতে হবে।
দেশ-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে, এমন কিছু মানুষের বিরুদ্ধেও শেখ হাসিনা সবাইকে সতর্ক করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সবাইকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশের অসা¤প্রদায়িক চেতনা ধ্বংস হয়ে যায়। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর হিন্দু স¤প্রদায়ের মানুষ বারবার অমানবিক নির্যাতন ও দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে। আমরা আবারও সংবিধান সংশোধন করে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের জন্য সমান অধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, যেহেতু তারা আমাদের ভোট দিয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন, তাই আমরা সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আবারও অসাম্প্রদায়িক চেতনা পুনরুদ্ধার করতে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই আপনারা সবাই নিজ নিজ ধর্ম যথাযথভাবে পালন করুন। একসময় (সরকারি) চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য ছিল, কিন্তু এখন এই বৈষম্য এখানে আর নেই। সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও সরকার যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করে। সূত্র: বাসস

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com