মধনগর প্রতিনিধি ::
ইজারামূল্যসহ অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ না করায় মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের লামারখলা দিঘা বিল জলমহালটির ইজারা বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করেছে জেলা প্রশাসন। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গত বৃহ¯পতিবার (৩১ আগস্ট) মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছেছে।
জেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মধ্যনগর উপজেলার লামারখলা দিঘা বিল জলমহালটি জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনাধীন। এই জলমহালটির আয়তন ২০একরের ঊর্ধ্বে। ১৪২৮ থেকে ১৪৩৩ বঙ্গাব্দের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ছয় বছরের জন্য বাৎসরিক ২৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা ইজারামূল্যসহ অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ সাপেক্ষে এই জলমহালটি স্থানীয় কাশফুল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের স¤পাদক হাবেল মিয়ার অনুকূলে ইজারা দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী, ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ৩০ চৈত্রের মধ্যে ইজারামূল্যসহ যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ করার কথা ছিল। চলতি ১৪৩০ বঙ্গাব্দের চার মাস অতিবাহিত হওয়ায় জেলা প্রশাসন থেকে ইজারামূল্যসহ যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ করার জন্য বেশ কয়েকবার ইজারাদারকে চিঠি দিলেও ইজারাদার এই জলমহালটির ইজারামূল্যসহ ও অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ করেননি। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসন থেকে ওই জলমহালটির ইজারা বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাশফুল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সম্পাদক ও লামারখলা দিঘা বিল জলমহালটির ইজারাদার হাবেল মিয়া বলেন, নানাবিধ কারণে আমরা যথাসময়ে জলমহালটির ইজারামূল্যসহ অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ করতে পারিনি।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ধর্মপাশার ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, ইজারামূল্যসহ অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ না করায় উপজেলার লামারখলা দিঘা বিল জলমহালটির ইজারা বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই জলমহালটি চলতি বঙ্গাব্দের অবশিষ্ট সময়ের জন্য খাস আদায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।