গত সোমবারের (৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩) দৈনিক সুনামকণ্ঠে একটি সংবাদপ্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে, “বালু-পাথরখেকো সিন্ডিকেটের বাধা উপেক্ষা করে এলাকাবাসীর মানববন্ধন : ধোপাজানে বালু-পাথর লুট বন্ধের দাবি”। সংবাদের শুরুতেই লেখা হয়েছে, “ইজারাবিহীন ধোপাজান-চলতি নদীর পাথরমিশ্রিত বালু মহালে সিন্ডিকেট কর্তৃক বালু-পাথর লুট বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।” এর নিশ্চয়ই একটা নিহিতার্থ আছে। ইজারাবিহীন কোনও মহাল থেকে আইনত কারও পক্ষে কোনও প্রকারেই সম্পদ আহরণের অধিকার নেই, সেটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে করা একটি অমার্জনীয় অপরাধ এবং প্রতিকারহীন পরিসরে এই অপরাধটাই করা হচ্ছে ইজারাবিহীন ধোপাজান-চলতি নদীর বালু-পাথর মহালে।
ইজারাবিহীন ধোপাজান-চলতি নদীতে যেভাবে বালু-পাথর লুট চলছে তা কারো অজানা নয়। বালু-পাথরখেকো সিন্ডিকেট রাত ও দিনে শত শত বারকি নৌকা ধোপাজান-চলতি নদীতে প্রবেশ করিয়ে উজান এলাকায় গিয়ে পাথর উত্তোলন করছে। এসব নৌকা থেকে পুলিশ-বিজিবির নাম ভাঙিয়ে নৌকা প্রতি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা উত্তোলন করছে। এই অসাধু চক্র প্রভাব খাটিয়ে সুকৌশলে উত্তোলনকৃত পাথর সুরমা নদীতে এনে নিদিষ্ট বাল্কহেড, স্টিলবডি নৌকা বা ক্রাসার মিলে বিক্রি করে রাতারাতি টাকার মালিক বনে যাচ্ছে। এতে একদিকে সরকার যেমন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে অবৈধ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে দুই উপজেলার অন্তত ২০ হাজার মানুষ বেকার থেকে যাচ্ছে। মুনাফাখোর সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য দমনে ইজারাবিহীন বালুমহালের পাথর উত্তোলন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী এই মহাল সরকারিভাবে ইজারা দেয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। সরকারের এই খনিজ সম্পদ যাতে আর লুট না হয় – এটাই প্রত্যাশা।