আব্দুল্লাহ আল মামুন ::
জামালগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের নির্মাণ কাজ দীর্ঘ পাঁচ বছরে শেষ হয়নি। অপরদিকে বিভিন্ন সময়ে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। অগ্নিকা-ে আর কত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে টনক নড়বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের – এমন প্রশ্ন জামালগঞ্জবাসীর।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভবনে রং ও রেলিংয়ের কাজ চলছে। পূর্বের মাঠ ঢালাইয়ের ফাটলের জায়গায় নতুন করে ঢালাই করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, জামালগঞ্জ উপজেলার শাহপুর বাঁধ বাজার সংলগ্ন এলাকায় এই গুরুত্বপূর্ণ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ না হলেও ২০১৮ সালে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি কাজ। এদিকে জামালগঞ্জে বিভিন্ন সময় অগ্নিকা- হলে স্থানীয় মানুষজনকে নীরব দর্শকের মত চেয়ে থাকা ছাড়া কিছু করার থাকেনা। জেলা শহর সুনামগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আসতে প্রায় ২/৩ ঘণ্টা চলে যায়। ফলে এই সময়ের মধ্যে অগ্নিকা-ে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান দুর্ঘটনা কবলিতরা। কিছুদিন আগেও ফেনারবাঁক ইউনিয়নের হটামারা গ্রামে আকস্মিক আগুনে ৩৮টি পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত নূর জালাল বলেন, জামালগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের ভবন দেখা যায়, কিন্তু কার্যক্রম নেই। যদি কার্যক্রম থাকতো তাহলে হয়তো হটামারা গ্রামের ৩৮টি পরিবারের ঘরবাড়ি জ্বলে ছাই হয়ে যেত না। জানিনা কবে শুরু হবে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম।
সিনিয়র সাংবাদিক অঞ্জন পুরকায়স্থ বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম জনবল নিয়োগ দিয়ে শীঘ্রই চালু করা হোক। ফায়ার সার্ভিস চালুর পাশাপাশি উপজেলার সাথে প্রতিটি ইউনিয়নের গ্রামীণ রাস্তার অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন। অন্যথায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবে না।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন জামালগঞ্জ এই ভবনটি উদ্বোধন হয় ২০১৮ সালে আমি জানতে পেরেছি। কিন্তু এটির কাজ শেষ হয়নি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব। কেন এখনো কাজ শেষ হয়নি এবং কেন হস্তান্তর করা হয়নি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে তলব করব।
জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ বলেন, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামালগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন উদ্বোধন করেন। জামালগঞ্জবাসীর আশা ছিল আগুন লাগলে সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এগিয়ে আসবেন। কিন্তু এখনো কার্যক্রমই শুরু হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব।