1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ড. ইউনুসকে আপাতত ভুলে থাকাই শ্রেয়তর

  • আপডেট সময় শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

অবাক হতেই হয় এবং অপরদিকে দুর্ভাগ্যকেও মেনে নিতে হয়। আমাদের অবস্থা এমনই যে, আমরা ইতোমধ্যে আত্মসমর্পণ করে বেসে আছি অপশক্তির কাছে। আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হয় আমরা নিজেরা হত্যা করেছি, না হয় ষড়যন্ত্র করে অপংক্তেয় করে তুলেছি, সর্বকালে সুকৌশলে মেধাবী ও সৃজনশীলদের ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছি, আর জনগণকে প্রতিশ্রুতির ফাঁদে আটকে প্রতারিত করে চলেছি প্রতিনিয়ত। তাছাড়া নিলামে তুলে দিয়েছি সর্বস্তরের প্রাতিষ্ঠানিক-প্রশাসনিক আসনগুলো। এ দেশে জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় সব নির্বাচনের আসনগুলো বিক্রি হয়ে যায়। সব কীছুকে আমরা পণ্য করে তুলেছি, এমনকি দেশটাকেই। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য অমঙ্গলকর এই পরিস্থিতি-পরিপ্রেক্ষিতের পরিসরে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে খেলা শুরু হয়েছে। বৃহৎ বিরোধীদল এবার নির্বাচনে খেলা হবে, আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন। আমরা আমজনতা স্বপ্নেও কল্পনাও করতে পারি নি যে, বিরোধীদলের এইরূপ ঘোষণার জোরটা কোথায়? এটাও বুঝতে পারি নি যে, আসলে ক্ষমতাসীনদল ও বিরোধীদলের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে হার-জিতের খেলায় তারা কেউ জিতবেন না, বরং হারবেন দুই দলই এবং জিত হবে বিশ্বের কীছু সা¤্রাজ্যবাদী ধনী দেশের এবং এই খবরদারিত্ব বাড়ানোর রাজনীতিক সাপলুডুর খেলায় গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি হয়ে উঠবেন বিশ্বপুঁজিবাদের তাঁবেদার একজন নোবেল বিজয়ী।
উচ্চসুদের (হার প্রায় শতকরা ৪০ টাকার উপরে) ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায়ে যাঁর নিযুক্ত কর্মচারি কিস্তি দিতে না পারার কারণে পলাতক গরীব দেনাদারের দাওয়ায় বসে থাকেন দিনের পরে রাত ঘনিয়ে এলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা, কিস্তি আদায় না করে তিনি যাবেন না, দেনাদারের বাড়ি ছাড়বেন না। কিস্তি না নিয়ে গেলে এই ছাপোষা চাকুরের গ্রামীণ ব্যাঙ্কের চাকরি থাকবে না। দেনাদারের বউকে উপায়ান্তর না দেখে ঘটিবাটি বিক্রি করে নাছোড়বান্দা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে আদায়কারী কর্মীকে শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে বিদায় করতে হয়।
ক্ষুদ্রঋণের জালে আটকে গরিব মানুষকে স্বচ্ছল করার প্রতিশ্রুতির আড়ালে তাদের জীবনটাকে টিকে থাকার একটি নির্দিষ্ট বৃত্তেবন্দিত্বের দুর্বিষহ অবস্থায় ফেলে পুঁজিবাদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠা মানুষের দারিদ্র্য নিয়ে ব্যবসা করা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বাঙালি এই বিখ্যাত মানুষের নাম ড, মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি বিশে^র ধনী ধনী দেশের অধিপতিদের খুব প্রিয়জন, যে-অধিপতিরা পুঁজিবাদী পদ্ধতিতে এখনও পৃথিবীর মেহনতি মানুষের রক্তশোষণ করে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। তিনি (এই ড. মুহাম্মদ ইউনুস) তাঁদের (ধনী দেশের নেতাদের) কাছে প্রিয় এই জন্য যে, একটি গরিব দেশে (বাংলাদেশে) তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনুস) তাঁদের (ধনী দেশের নেতাদের) প্রতিনিধি হয়ে কাজ করেছেন আজীবন। বাংলাদেশে তাঁর কাজের নমুনার অন্তঃসার প্রকাশিত হতে পারে কর ফাঁকি, মানিলন্ডারিং, শ্রম আইন লঙ্ঘনসহ দেশের অসংখ্য গরিব মানুষকে স্বচ্ছলতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রকারান্তরে তাঁদের কাছ থেকে উচ্চসুদ আহরণের কার্যক্রম পরিচালনা, যে-সুদের কিস্তি দিতে গিয়ে কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। পত্রিকায় এমন সংবাদও বেরিয়েছে। এই দিক দিয়ে বিবেচনায় তাকে প্রকৃতপ্রস্তাবে কী বলা যায়? এমন প্রশ্ন বিদগ্ধমহল অনেক আগেই করে রেখেছেন। পত্রিকান্তরে খবর বেরিয়েছে এই ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে। বলা হয়েছে, “আবারও আলোচনায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সরকারি দল ও বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি আন্দোলন ছাপিয়ে আলোচনার সামনে চলে এসেছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস। কর ফাঁকি, মানি লন্ডারিং, শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে একের পর এক মামলার বিপরীতে এসব মামলা স্থগিত করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কিছু আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের ‘খোলা চিঠি’ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। এরই মধ্যে ইউনুস ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেও মুখ খুলেছেন। বলেছেন, আত্মসম্মান না থাকায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনি বিবৃতি ভিক্ষা করছেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, কারও বিবৃতিতে আদালত প্রভাবিত হবে না। আদালত স্বাধীনভাবেই কাজ করবে। আইন নিজস্ব গতিতে চলবে।”
আর এদিকে ইতোমধ্যে আমজনতার দরবারে কথা উঠেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করা হবে। সে জন্য বিশে^র ১০০জন নোবেল বিজয়ীসহ ১৮০জন বিশ^নেতা তাঁর (ড. মুহাম্মদ ইউনুস) উপরে করা করফাঁকি, মানিলন্ডারিং, শ্রম আইন লঙ্ঘনঘটিত মামলা প্রত্যাহারের দাবি সম্বলিত চিঠি দিয়েছেন।
সে যাই হোক, অভিজ্ঞমহলের ধারণা এই যে, বাংলাদেশের সিংহভাগ রাজনীতিসচেতন মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকরের উপর ভরসা রাখেন না। আর আগবাড়িয়ে এও বলে ফেলতে চাই যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি করাই হয় তবে সে-সরকারের প্রধানকে নির্বাচন করার অধিকার এই দেশের সাধারণ মানুষের বিশ্ব নেতৃবৃন্দের নয়। আর সব কথার শেষ কথা হলো, আপাতত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ভুলে থাকাই শ্রেয় থেকেও শ্রেয়তর, যিনি ইতোমধ্যে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে বিশ^ নেতাদের বিবৃতিভিক্ষা করতে পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন এবং দেশের জন্য নয়, নিজের জন্য আরও অনেক কীছুই করতে পারেন। তিনি শন্তিতে নোবেল পেয়েছেন বটে, কিন্তু দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর কোনও অবদান এখনও পর্যন্ত পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com