জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
জগন্নাথপুরে পানির সুবিধা পেতে গুচ্ছগ্রামবাসীকে সহযোগিতা করায় আওয়ামী লীগ নেতাকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মোকামপাড়া গ্রাম এলাকায় গড়ে উঠেছে গুচ্ছগ্রাম। গুচ্ছগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে প্রায় ২ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন। এ গুচ্ছগ্রামের পাশে রয়েছে সরকারি খাস জায়গায় বড় একটি জলাশয় রকম পুকুর। যার স্থানীয় নাম গরমতলা ডর। এ পুকুরে গোসল করাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করেন দরিদ্র গুচ্ছগ্রামবাসী। তবে হেমন্ত মৌসুমে পুকুরটি শুকিয়ে মাছ ধরার কারণে পানি সংকটে ভোগান্তির শিকার হন গুচ্ছগ্রামসহ আশপাশের মানুষজন। স্থানীয় একটি মহল লীজ নিয়ে পুকুর শুকিয়ে মাছ ধরায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়। তাই এবার আর পুকুরটি লীজ না দিয়ে উন্মুক্ত রাখার জন্য ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার গুচ্ছগ্রামের ৪৪ জন স্বাক্ষরিত একটি আবেদন পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে প্রদান করেন ভুক্তভোগীরা। পুকুরটি উন্মুক্ত থাকলে পানি সংকট থেকে রক্ষা পাবেন তারা।
এদিকে, গুচ্ছগ্রামবাসীকে পানি পেতে সহযোগিতা করায় স্থানীয় মোকামপাড়া গ্রামের শালিসি ব্যক্তি ও কলকলিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতি ছমির উদ্দিনকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা নুরনেছা বেগম, দিলারা বেগম, রাহিমা বেগম, খাদিজা বেগমসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন পুকুরে পানি থাকলেও হেমন্তে একটি মহল শুকিয়ে মাছ ধরে। এতে আমরা পানি সংকটে অনেক কষ্ট করি। তাই পুকুরটি লীজ না দিয়ে উন্মুক্ত রাখতে মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আবেদন করেছি। তারা আরো বলেন, সরকার আমাদের ঘর দিয়েছেন। পানিও দিবেন। তবে আমরা গরীব মানুষদের সহযোগিতা করায় সমাজের একজন ভালো মানুষ ছমির উদ্দিনকে হয়রানির ঘটনা কেউ মেনে নিতে পারছেন না।
এ বিষয়ে আ.লীগ নেতা ছমির উদ্দিন বলেন, এলাকার একটি মহল প্রতি বছর এ সরকারি জলাশয়টি লীজ এনে হেমন্তে শুকিয়ে মাছ ধরে। এতে পানির অভাবে কষ্ট পায় গুচ্ছগ্রামের গরীব মানুষেরা। তাই এবার উন্মুক্ত রাখতে মন্ত্রী মহোদয়সহ সরকারি দপ্তরে তারা আবেদন করেছেন। এতে আমি তাদেরকে সহযোগিতা করায় ওই মহলের লোকজন আমাকে নানাভাবে হয়রানি ও মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে কলকলিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ফখরুল হোসেন সহ আ.লীগ নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞা জানান, এ জলাশয় কখনোই লীজ দেয়া হয় না। আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে। এবার তা আর হবে না।