জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ::
হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলার অবহেলিত উপজেলা জামালগঞ্জ। দীর্ঘদিন যাবত জেলা সদরের সাথে উপজেলার সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটেনি। জামালগঞ্জ থেকে জেলা সদরের মধ্যবর্তী দিরাই সড়কের কাঠইর পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশায় জনগণের ভোগান্তির অন্ত নেই।
জামালগঞ্জ উপজেলার অংশ রুপাবালির মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা উজ্জ্বলপুর-জাল্লাবাজ মধ্যবর্তী ও জাল্লাবাজ-বাহাদুরপুর ব্রীজের উভয় পাশের অংশ। এছাড়াও নতুনপাড়া, শাহপুর, গোলামীপুর, ছোট ঘাগটিয়া, বড় ঘাগটিয়া, উজ্জ্বলপুর, জাল্লাবাজ, বাহাদুরপুর, নোয়াগাঁও বাজার ও রুপাবালি অংশের মূল সড়কের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় খানাখন্দ। গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এই সমস্ত সড়ক নির্মাণ ও মেরামতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ উদ্যোগ না নেয়ায় বন্যার পর থেকে জনগণের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। চলতি বছরের মে মাসে দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব করতে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ভাঙ্গা ও খানাখন্দগুলোতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে। এর উপরে উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডির মাধ্যমে কয়েকটি ভাঙ্গনের জায়গায় ও খানাখন্দে ইট বিছিয়ে দিলেও স¤প্রতি অতিবৃষ্টিতে সড়কের বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে যান চলাচল বন্ধের উপক্রম দেখা দিয়েছে।
উজ্জ্বলপুরের ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙাটি কর্তৃপক্ষের মেরামতের অবহেলার কারণে উপজেলা হাসপাতাল থেকে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে সিএনজিতে যাতায়াত করলেও অ্যাম্বুলেন্স চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। উপজেলার উপকণ্ঠে তেলিয়া পয়েন্ট থেকে নতুনপাড়ার ত্রিমুখী রাস্তা পর্যন্ত ১০০ মিটার জায়গায় ইটের ঝাঁকুনিতে মুমূর্ষু রোগীসহ বয়স্ক নারী-পুরুষসহ যাত্রীদের নাভিশ্বাস হয়। এই ১০০ মিটার রাস্তা পুরাতন আরসিসি ভেঙে ২০১৯ /২০ সালে ইটসলিং করা হলে যান চলাচলসহ মানুষের চলাফেরায় দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।
স্থানীয়রা বলেন, সরকারের উন্নয়নের প্রচার শুনি। কিন্তু জামালগঞ্জের রাস্তার উন্নয়ন হয় না। আমাদের দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। অসুস্থ রোগী নিয়ে গাড়িতে উঠলে নিজেও রোগী হয়ে যাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনজিও কর্মী বলেন, হাওরপাড়ের জনগণের মান উন্নয়নে সরকার আন্তরিক। কিন্তু জামালগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থার এ দুরবস্থা কেন?
উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মালিক বলেন, ২০২২ সালের বন্যায় রাস্তাটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বন্যা পরবর্তীতে রাস্তার সংস্কারের জন্য প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। ইমার্জেন্সি বাজেট দিয়ে রাস্তার ভাঙ্গা অংশে মেরামত করা হয়েছে। এ মুহূর্তে আমাদের হাতে কোন বাজেট নাই। প্রকল্প পাশ হয়ে আসলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।