1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

প্রকৃতির প্রতি যত্ন নিতে হবে

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩

গতকালের (২৭ আগস্ট ২০২৩) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “টাঙ্গুয়ার হাওর, বারেকটিলা, শিমুল বাগানসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে সমৃদ্ধ তাহিরপুর উপজেলা। এসব স্পটগুলো উপজেলার সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় সৌন্দর্য্য যেন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসছেন। কিন্তু সেই তুলনায় সড়কপথের পাশাপাশি অবকাঠামোর কোনো উন্নয়ন হয়নি কয়েক যুগেও।”
কথাটি সত্যিকার অর্থেই সত্য বটে। কেবল তাই নয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমন হয় নি তেমনি প্রাকৃতিক পরিবেশ তথা প্রতিবেশের যে-পরিমাণ ক্ষতি সাধিত হয়েছে তার শতভাগের একভাগও পূরণ করা সম্ভব হয় নি, বরং ক্ষতির পরিমাণ বিপজ্জনকভাবে বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে নদী অববাহিকার নদীর নাব্যতা হারিয়েছে, খাল-বিল-বাঁওর ভরাট হয়ে গেছে, কোথাও কোথাও দখল হয়ে গেছে এবং প্রকৃতপ্রস্তাবে হাওরগুলো মরতে বসেছে। হাওরে আর আগের মতো মাছ পাওয়া যাচ্ছে না, হাওরের বৃক্ষ-গুল্ম-জলজ উদ্ভিদ ও পশু-পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। স্থলভাগের বনবিনাশ চলছে ব্যাপকাকারে, গ্রামাঞ্চলের করচ-হিজলের বাগান ও বেতবনগুলো হারিয়ে গেছে চিরতরে। এ অবস্থাকে মধ্যপ্রাচ্যের বিরান মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করে কোনও বেরসিক হয়তো বলেই বসবেন, বাংলাদেশের ভাটিবাংলা একটি জলজ মরুভূমিতে পর্যবসিত হতে যাচ্ছে, এমনটা বিচিত্র নয়।
জলজ মরুভূমির কল্পনাটি যদিও বাস্তবের সঙ্গে ঠিক খাপ খায় না। তো কী করা যাবে? মাছের মাতৃঘর টাঙ্গুয়াতে মাছ পাওয়া যায় না, কথাটা একটি অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে। সুতরাং ‘জলজ মরুভূমি’ কথাটিও একটি বাস্তব সত্য হতেই পারে। এর সঙ্গে আর একটি বাস্তব সত্য এই যে, আমরা নিজেরাই আমাদের মাতৃভূমিকে ক্রমে বাস অযোগ্য করে তোলছি। বেশি বেশি সম্পদ সঞ্চয়ের স্বার্থে দেশ, দেশের মাটি ও প্রকৃতিকে নিঃস্ব করে দেওয়ার অপকর্ম পরিহার করতে পারছি না। প্রকারান্তরে দেশের ভেতরে এমন বেড়ে উঠা অন্তর্ঘাতককে দমন করতে প্রয়োজনে রাষ্ট্রকে কঠোর হতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই।
এখানে একটি কথা না বললেই নয়। “এসব স্পটগুলো উপজেলার সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় সৌন্দর্য্য যেন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।” এই বলে অতীতের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ভুলে থাকার ভান করার কোনও মানে হয় না। হিরাকে হারিয়ে কাঁচ নিয়ে মনকে ভুলিয়ে রাখার বোকামি না করে প্রকৃতির প্রতি যতœ নিতে হবে, এই প্রকৃতি আমাদেরকে অতীতের নিসর্গের সৌন্দর্য ও জীবনকে সমৃদ্ধ করার অফুরন্ত শক্তি দিতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, টাঙ্গুয়াকে আবার মাছের মাতৃঘরে পর্যবসিত করতে পারে, কেবল তাকে বছর-দুয়েক বিশ্রাম নিতে দিতে হবে, এখন তার নির্জনতা চাই।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com