স্টাফ রিপোর্টার ::
সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দিরাই রাস্তা সংলগ্ন মদনপুরে কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহত মো. মিলাদ হোসেন (১৭) ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মরজাদ টেকেরবাড়ি গ্রামের আবদুস সামাদের দ্বিতীয় পুত্র। বুধবার রাত ৯টার দিকে তিনি সিলেটের নর্থইস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে মদনপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ জনে দাঁড়িয়েছে। একই দুর্ঘটনায় মিলাদের বড়ভাই মো. মিলন হোসেনও (২০) গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত মিলাদ হোসেনের পিতা আবদুস সামাদ জানান, একটি মামলার হাজিরা দিতে সুনামগঞ্জে গিয়েছিল আমার দুই ছেলেসহ আরও কয়েকজন। হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমি আমার এক ছেলেকে হারিয়েছি, আরেক ছেলে মৃত্যুর সাথে লড়ছে।
তিনি বলেন, আমরা যখন আমার ছেলেদের ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাই তখন সেখানে আইসিইউ খালি না থাকায় ডাক্তাররা দ্রুত আমাদের রাগীব রাবেয়া মেডিকেলে পাঠান। অবস্থা ভালো না দেখে সেখানকার ডাক্তাররাও আমার ছেলেকে সেখানে রাখেননি। পরে আমরা তাকে নিয়ে যাই নর্থ ইস্ট মেডিকেলে। সেখানকার ডাক্তাররা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে আধাঘণ্টা পর এসে জানান আমার ছেলে আর নেই। আমার সব শেষ। আমি বেঁচে থেকে আর কি করবো?
উল্লেখ্য, বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় সুনামগঞ্জগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ও সিলেটমুখী সিএনজিচালিত ফোরস্ট্রোক ঘটনাস্থলে এলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যান চালক জিয়াউল হক। গুরুতর আহত হয়েছিলেন সিএনজিতে থাকা মো. মিলন হোসেন, মো. মিলাদ হোসেনসহ ৫জন যাত্রী। এর মধ্যে মিলাদ হোসেন রাত ৯টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় মরজাদ গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।