স্টাফ রিপোর্টার ::
যুক্তরাজ্য জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি ড. শামছুল হক চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান কুশীলব ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকা- থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের দ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য গণতদন্ত কমিশন গঠন করে বিদেশে থাকা পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর ২টায় শাল্লা উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তার কর্মী- সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. শামছুল হক চৌধুরী আরও বলেন, আমি সুনামগঞ্জ -২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমি উপমহাদেশের বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের হাত ধরে রাজনীতিতে পদার্পণ করি। দিরাই-শাল্লার মানুষ আমাকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। একারণেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন তারা। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং ভিশন-২০৪১, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাজে আমি অংশগ্রহণ করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট জনগোষ্ঠী স্মার্ট শিল্প কলকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যানো টেকনোলোজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, জৈব প্রযুক্তি অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার নিশ্চিত করেছেন। আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে কাজ করতে চাই। আমাকে নৌকা প্রতীক না দিলেও, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যাকেই নৌকা প্রতীক দিবেন তার সাথেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।