জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া ::
ভবন সংকটের কারণে গাছতলায়ই পাঠদান চলছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের বাঘমারা ললিয়াপুর নুরে মদিনা চার গ্রাম মাদ্রাসায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের বাঘমারা, ললিয়াপুর, কাটাল বাড়ি ও চান্দারগাঁও (চারগাঁও নুরে মদিনা) শিক্ষানুরাগী মানুষদের পরামর্শে ও উদ্যোগে দুই বছর আগে সিএনবি’র জমির রাস্তার উপর একটি ছোট টিনসেডের ঘরে এলাকার এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। গত দুই বছরে মাদ্রাসাটি ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক সুনাম অর্জন করায় মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী মাদ্রাসাটিতে শ্রেণিকক্ষ না থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের গাছতলায় বসিয়ে শিক্ষকরা পাঠদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে এ মাদ্রাসায় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী চারটি ক্লাসে শিক্ষাগ্রহণ করছে।
জানাযায়, এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগিতায় মাদ্রাসাটি ৫ জন শিক্ষকের দ্বারা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এ মাদ্রাসাটির শিক্ষা কার্যক্রম দেখে ললিয়াপুর (নতুর হাটি) গ্রামের শিক্ষানুরাগী মৃত আব্দুল বারীর চার সন্তান আব্দুল বাসিত, আব্দুল ওয়াদুদ, আব্দুল ওয়ালিদ ও মো. মিজানুর রহমান মিলে ৩০ শতক জমি মাদ্রাসার জন্য দান করেন। এলাকার মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় ওই জমিতে মাটি ভরাট করে একটি ছোট টিনসেডের ঘর নির্মাণ করা হয়।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, আমাদের মাদ্রাসাটি নানা সমস্যার সম্মুখীন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে ঘরের সংকট। একটি টিনসেড ঘর তৈরি করে দেয়াল দিতে পারছি না। তাই সমাজের অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারের জন্য সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগীদের কাছে মাদ্রাসাটিতে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানাই। পাশাপাশি হাওরাঞ্চলে দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা-কার্যক্রম প্রসারে সরকারেরও সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা হুমায়ুন কবির বলেন, মাদ্রাসাটি নানাবিধ সংকট মোকাবেলা করছে। ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দিতে আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।