স্টাফ রিপোর্টার ::
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল ৩টায় শহরের রমিজ বিপণিস্থ কার্যালয়ের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক নোমান বখত পলিন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ২১ আগস্ট কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা বড় একটি ষড়যন্ত্র। বিদেশে বসে এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে দিতে। কিন্তু সেই অপচেষ্টায় তারা সফল হতে পারেনি।
নোমান বখত পলিন আরও বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নেতা কর্মী নিহত হন। আহত হন ২ শতাধিক। তিনি বলেন দেশের উন্নয়নে এই ষড়যন্ত্রকারীরা বাধার সৃষ্টি করে আসছে। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল কালাম, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল, সাবেক ছাত্র নেতা জিতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মনিষ কান্তি দে মিন্টু, সবুজ কান্তি দাস, আসাদুজ্জামান সেন্টু, অ্যাড. বিমান কান্তি রায়, আজাদুল ইসলাম রতন, রঞ্জিত চৌধুরী রাজন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব আহমদ চৌধুরী ও সাধারণ স¤পাদক জুবের আহমদ অপু, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি দীপংকর কান্তি দে, জেলা যুব শ্রমিক লীগের একে মিলন আহমদ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ সাধারণ স¤পাদক রিংকু চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম আহমদ, যুব মহিলা লীগের জান্নাত মরিয়ম, উপজেলা আওয়ামী লীগের তৈয়বুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশের আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মৎস্যজীবী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।