স্টাফ রিপোর্টার ::
দোয়ারাবাজার উপজেলায় যুবক জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার রায়ে সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ঝলক রায় এই রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- দোয়ারাবাজার উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের আবদুল মতিন, নুরুল হক, আনর আলী, আফতাব মিয়া, সিরাজ আলী, মংলা মিয়া ও হেলাল উদ্দিন। আসামিদের মধ্যে মংলা মিয়া ও হেলাল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন। এছাড়া একই মামলায় আরও পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেওয়া হয়েছে। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. গোলাম মোস্তফা। হত্যা মামলার প্রায় ১৭ বছর পর এ রায় হলো।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের ২০০৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। গ্রামের পাশের সড়কে গ্রামের বাসিন্দা মাসুক মিয়া ও হুশিয়ার আলীর মুদি দোকান ছিল। ঘটনার দিন দুপুরে ক্যারাম খেলার জন্য হুশিয়ার আলী মাসুক মিয়ার কাছে ক্যারাম বোর্ডের গুটি চান। কিন্তু মাসুক গুটি না দেওয়ায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে বিকালে হুশিয়ার আলীর পক্ষের লোকজন মাসুক মিয়ার পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালান। এক পর্যায়ে মাসুক মিয়ার চাচা জামাল উদ্দিনকে সুলফি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনার পর জামাল উদ্দিনের ভাই আবদুর রউফ বাদী হয়ে দোয়ারাবাজার থানায় ১৮জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৬ সালের ২৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিচারক এই মামলার ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও আট জন আসামিকে খালাস দেন। ১৮ জন আসামির মধ্যে বিচার চলাকালীন সময়ে তিন জন মারা যান।