সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। জ্বর কমেছে। রক্তের হিমোগ্লোবিন বেড়েছে। ডায়েবেটিসসহ অন্য জটিলতাগুলো এন্টিবায়োটিক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে। পরিস্থতি এমন থাকলে সোমবার কিংবা মঙ্গলবারে হাসপাতাল ছাড়তে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার চিকিৎসায়
গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য গত শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান। তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ম্যাডামের অবস্থা কিছুটা ভলোর দিকে। শরীরে যে পানি ছিল তার পরিমাণ কমে আসছে। বোর্ড পর্যবেক্ষণে রেখেছে। তিনি কেবিনেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিদিনই ম্যাডামের স্বাস্থ্যের একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষা হচ্ছে। সে অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, লিভারের মতো জটিল সমস্যা তো আছেই। এটার আসলে শতভাগ চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু একাধিক জটিলতা থাকায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এজন্য তাকে বারবার মাল্টিপুল ডিজিস সেন্টারে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে আছেন তার গৃহপরিচারিকা ফাতেমা আক্তার ও স্টাফ রূপা। আর মাসুদ নামে নিরাপত্তারক্ষী গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে হাসপাতালে খাবার নিয়ে যান।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে গুলশানে তার বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছর সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার সাত বছরের সাজা হয়।