মধ্যনগর প্রতিনিধি ::
মধ্যনগর উপজেলার লামারখলা দিঘা বিল জলমহালটির চলতি ১৪৩০ বঙ্গাব্দের ইজারামূল্যসহ যাবতীয় পাওনাদি এখনো পরিশোধ করা হয়নি। আইকানুনের কোনোরকম তোয়াক্কা না করে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সেখানে অবৈধভাবে মাছ শিকার কার্যক্রম চলছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের বংশীকুন্ডা গ্রামের সামনে লামারখলা দিঘা বিল জলমহালটির অবস্থান। এই জলমহালটি জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনাধীন। ১৪২৮ থেকে ১৪৩৩ বঙ্গাব্দের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ছয় বছরের জন্য বাৎসরিক ২৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যে উপজেলার কাশফুল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের স¤পাদক হাবেল মিয়ার অনুকূলে এটি ইজারা দেওয়া হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ৩০ চৈত্রের মধ্যে ইজারামূল্যসহ যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু ১৪৩০ বঙ্গাব্দের চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো জলমহালটির ইজারামূল্যসহ যাবতীয় পাওনাদি ইজারাদার পরিশোধ করেনি। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন থেকে ইজারামূল্যসহ যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ করার জন্য ইজারাদারকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও ইজারাদার এতে কোনো উত্তর দেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, জলমহালটির ইজারাদার গত একমাসে অবৈধভাবে মাছ শিকার করিয়ে কয়েক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সরকারের রাজস্ব আয়ের স্বার্থে দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে মাছ শিকারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা জোর দাবি জানান।
লামারখলা দিঘা বিল জলমহালটির ইজারাদার হাবেল মিয়া বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে এই জলমহাল সংক্রান্ত যে চিঠিগুলো পাঠানো হয়েছে তা আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। ইজারামূল্যসহ যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ করার জন্য আমাদের মধ্যে আলাপ আলোচনা চলছে। আমরা জলমহালটি থেকে মাছ শিকার করছি না। তবে যাতে কেউ মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য পাহাদার নিয়োজিত করে রেখেছি।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ধর্মপাশার ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, ইজারামূল্যসহ যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ না করে ওই জলমহালটি থেকে মাছ শিকার করা স¤পূর্ণভাবে বেআইনি। খোঁজ নিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।