স্টাফ রিপোর্টার ::
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও ১৫ আগস্ট কালরাতে নিহতদের স্মরণে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শোকর্যালিতে যোগ দিতে শহরে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।
মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের রমিজ বিপণিস্থ কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট ও সাধারণ স¤পাদক নোমান বখত পলিনের নেতৃত্বে বিশাল শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রমিজ বিপণিস্থ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। শোকর্যালিতে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।
শোকর্যালি পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক নোমান বখত পলিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি রেজাউল করিম শামীম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক সৈয়দ ফারুক আহমেদ, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক অমল কর। সঞ্চালনা করেন ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা রনজিত চৌধুরী রাজন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি সুনামগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর ঘাঁটি, জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘাঁটি। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করার জন্য আজকের শোকর্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী নির্র্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে নৌকাকে জয়ী করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেবো। এই বিশ্বাস নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এজন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।
বক্তারা বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এই দিনে হত্যা করা হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করা। আশির দশকে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশে আসলেন তখন ঘরের বাইরে উনাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। নিজের ঘরে ঢুকতে দেয়া হয় নি। তখন কোন মানবাধিকার সংগঠন কি পাশে দাঁড়িয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, যখনই নির্বাচন আসে তখনই দেখা যায় কুচক্রীমহল বিদেশে বসে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টির কাজ করে। আমরা মারামরি, জ্বালাও-পোড়াও বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে। নিবার্চন হবে সংবিধান অনুযায়ী। ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন আগানো বা পেছানো যাবে না।