সুখেন্দু সেন
স্বদেশের বুক চিরে যে শোনিত ধারা
বহে চলে পদ্মা, মেঘনা, যমুনায়,
হাজার নদীর স্রোত তীর ছুঁয়ে যায়,
যে প্রশ্বাস লেগে থাকে মৌসুমী হাওয়ায়।
যে বেদনাধ্বনি মাঝির কণ্ঠে গান হয়ে ঝরে,
রাখালের বাঁশরি সকরুণ সুর তুলে দুপুর নির্জনে।
যে দিব্য আহ্বান, ভোর ডেকে আনে,
যে শিল্প ওঠে আসে কৃষকের
লাঙ্গলের ফলায়।
যে স্বপ্ন ভাঁজ ভেঙ্গে ধরা দেয় আঠারোর যৌবন সীমায়।
যে দেনার দায় নিয়ে
পাথর বুক হয়ে আছে ভার
সে রক্তের ঋণ-শোধ, হয়ে থাকে
জন্মের অঙ্গিকার।
তুমি তো রয়েছো মিশে ব-দ্বীপের
পলি মাটি, জলে।
প্রখর রৌদ্র তাপ, মায়াময় জ্যোৎ¯œার প্লাবনে।
মানচিত্রে, পতাকায়, কবিতায়, গানে
জেগে আছো চেতনায় কোটি কোটি প্রাণে।
শতাব্দীর বেদনাভারে থমকে আছে
শ্রাবণ আকাশ,
বাদল ধারায় ঝরে অন্তরাত্মার
শোকের প্রকাশ,
আগস্ট শোকের মাস।