আকরাম উদ্দিন ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ও বাদাঘাট ইউনিয়নের আওতাধীন মমিনবাজার ও মেরুয়াখলা হয়ে লাউড়েরগড় সড়ক ভেঙে বেহাল অবস্থা হয়েছে। সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও মানুষজন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এই সড়ক মেরামতের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
গত বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৫/৭ বছর ধরে এই সড়কের কোনো কাজ হচ্ছে না। বিগত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ও ভারী বৃষ্টিপাতে সড়কের বিনাশ হয়েছে। এবারের ভারী বৃষ্টিপাতে সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন ও মানুষজন চলাচলে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সড়কে চলাচলকারী রোগী, বয়স্করা, মহিলা ও শিশুরা নানা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন তাহিরপুর উপজেলার শাহ আরেফিন (রহ). মোকাম, লাউড়েরগড় সীমান্ত হাট, বারেকের টিলা, শিমুলবাগানে, ট্যাকেরঘাট নীলাদ্রি, বড়ছড়া প্রভৃতি এলাকার লক্ষাধিক মানুষ আসা-যাওয়া করে থাকেন। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এই সড়কের দ্রুত মেরামত জরুরি প্রয়োজন।
পথচারী আনাস হোসেন বলেন, বর্ষার ভারী বৃষ্টিতে সড়কের উপর বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। মানুষজন চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এই সড়কের মেরামত জরুরি প্রয়োজন।
সিএনজি চালক আমির হোসেন বলেন, এই সড়কে যাত্রী নিয়ে চলাচল করলে যাত্রীরা খুবই বিরক্ত হন। গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে আসা-যাওয়া করলে তারাও কষ্ট পান। এসব সমস্যা নিরসনে সড়কের মেরামত দরকার।
মেরুয়াখলা গ্রামের বাসিন্দা বশির মিয়া বলেন, এই সড়কে চলাচলের সময় প্রায় প্রতিদিন ২/১ টি দুর্ঘটনা ঘটে। এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।
মমিন বাজারের আব্দুল করিম বলেন, চলাচলে অযোগ্য এই সড়ক। এই সড়কে মানুষজন চলাচলে ভয় পান। নারী-শিশু নিয়ে চলাচলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
ধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন খান বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার অনেক আগে এই সড়কের কাজ হয়েছিল। এখন পর্যন্ত সড়কের কোনো উন্নয়নকাজ হয়নি। সড়ক মারাত্মকভাবে ভেঙে যাওয়ায় যানবাহন ও মানুষ চলাচলে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এই সড়কের উন্নয়ন জরুরি প্রয়োজন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রকৌশলী একরামুল হোসেন বলেন, সড়কটি ফ্লাড ২০২২ এর উন্নয়ন প্রকল্পভুক্ত আছে। বরাদ্দ আসলে দ্রুত সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে।