স্টাফ রিপোর্টার ::
হাওর সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সমীক্ষা এবং লুপ্তপ্রায় সাংস্কৃতিক উপাদান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি অনেক আগে থেকে লুপ্তপ্রায় সাংস্কৃতিক উপাদান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে। সারাদেশের ৫টি অঞ্চল থেকে উত্তরবঙ্গের ৮/৯ জেলায় এবং ফরিদপুর, ময়মনসিংহ ও সুনামগঞ্জের অঞ্চল থেকে ১৩ হাজার ৫শত গান সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা কোনো কিছু হারিয়ে যেতে দেবো না। কোনো কিছু লুপ্ত হতে দেবো না।
লিয়াকত আলী বলেন, শিল্পচর্চার মূল কথা হলো সত্য, সুন্দর ও কল্যাণ। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের জন্য আমরা আন্দোলন করি। বাংলাদেশের গুটিকয়েক আলোকিত অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম সুনামগঞ্জ অঞ্চল। তিনি আরও বলেন, অনেকের গান, অনেকের লেখা পা-ুলিপি আকারে আছে। আমরা সমস্ত গানের পা-ুলিপি ও লেখা পর্যালোচনা করে অবশ্যই প্রকাশনার ব্যবস্থা করবো।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গবেষক সৈয়দা আঁখি হক, মহাপরিচালক দপ্তরের কালচারাল অফিসার আবু সালেহ আব্দুল্লাহ, সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ স¤পাদক অ্যাড. সামছুল আবেদীন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক পাভেল।
ওইদিন সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমির গেইটে সারিবদ্ধভাবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সুনামগঞ্জের শিল্পীরা। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন লিয়াকত আলী লাকী। আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।