স্টাফ রিপোর্টার ::
তিন মাস পূর্বে উদ্বোধন করা হয় তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের শাহিদাবাদ বর্ডার হাট। কিন্তু এখন পর্যন্ত আবেদনকারী একজন ক্রেতাও হাটে প্রবেশের স্থায়ী কার্ড পাননি। এরফলে প্রতিবার হাটে প্রবেশের জন্য স্থানীয়রা জনপ্রতি ৫০ টাকা ও অস্থানীয়রা ২শত টাকা দিয়ে অস্থায়ী প্রবেশ কার্ড নিয়ে হাটে প্রবেশ করতে হচ্ছে। এতোদিন অতিবাহিত হলেও ভারতীয় পণ্য ক্রয় করতে ক্রেতা কার্ড না পারায় আবেদনকারীদের মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ৫৫০জনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, চলতি বছরের ২৪ মে আনুষ্ঠানিকভাবে এই হাটের উদ্বোধন করেন দুদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। এনিয়ে জেলায় তিনটি বর্ডার হাট চালু হয়। আর এটি বাংলাদেশের ১৪তম বর্ডার হাট। বর্ডার হাটটি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড় শাহ আরেফিন (রা.) আস্তানা সংলগ্ন শাহিদাবাদ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের নালিকাটা এলাকায় অবস্থিত।
উদ্বোধনের আগের দিন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও তাদের সহযোগীসহ মোট ৪৫ জন বাংলাদেশিকে পণ্য বিক্রয় করার কার্ড প্রদান করা হয়। তারা বাংলাদেশি পণ্য হাটে বিক্রি করছেন। নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহের প্রতি বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বর্ডার হাটটি বসছে। বর্ডার হাটে উভয় দেশের ১২টি করে মোট ২৪টি দোকান বসছে। ব্যবসায়ীরা পূর্ব নির্ধারিত ২৫টি পণ্য বিক্রি করতে পারছেন এবং একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুইশত মার্কিন ডলারের (২১ হাজার পাঁচশত টাকা) পণ্যসামগ্রী কিনতে পারবেন।
ক্রেতা কার্ড পাবার জন্য আবেদনকারীগণের মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে তালিকায় থাকারা জানান, আমরা আবেদন করেছি, অনুমোদনের তালিকায় নাম আছে কিন্তু তিন মাস পার হলেও ক্রেতা কার্ড পাইনি। এ কারণে আমরা পণ্য ক্রয় করতে পারছি না। দ্রুত ক্রেতা কার্ড পেলে আমরা উপকৃত হব।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও শাহিদাবাদ বর্ডার হাটের সভাপতি নিজাম উদ্দিন জানান, বর্ডার হাটের ক্রেতা কার্ডের সংখ্যা সাড়ে ৫শত। পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে কার্ড দিতে দেরি হচ্ছে। এরপরও যোগাযোগ করব যেন তাড়াতাড়ি কার্ড হয়ে যায়।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা জানান, অনেক ক্রেতা কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে স্থানীয় বাসিন্দাদের নামের তালিকা তৈরি করে জেলায় পাঠানো হয়েছে। ক্রেতা কার্ড প্রক্রিয়াধীন আছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই ক্রেতা কার্ড পেয়ে যাবেন।