শহীদনূর আহমেদ ::
সড়কের একপাশ দখল করে সারি সারিভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিশালাকার গাড়ি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করে নির্ধারিত সময়ে শহরে হতে যাত্রী নিয়ে ছুটে যায় গন্তব্যে। সড়কই যেন অস্থায়ী টার্মিনাল। এটি প্রতিদিনকার চিত্র সুনামগঞ্জের মল্লিকপুর থেকে হাসন তোরণ পর্যন্ত।
জেলা শহরে ঢাকাগামী পরিবহন রাখার জন্যে নির্দিষ্ট টার্মিনাল না থাকায় সড়কই ভরসা সংশ্লিষ্টদের। সড়কের উপর গাড়ি পার্কিং করে রাখায় সংকীর্ণ হয়ে যায় পথ। এতে অন্যান্য যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। প্রায় সময় দেখা দেয় তীব্র যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের। সংকীর্ণ রাস্তায় অন্য পরিবহন করতে গিয়ে প্রায় সময় ঘটে দুর্ঘটনা। তাছাড়া শহরের প্রবেশদ্বারে বাস পার্কিংয়ের বিষয়টি দৃষ্টিকটু বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মানুষ।
অপরদিকে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকাসহ আন্তঃবাসের টিকেট কাউন্টার ও যাত্রী উঠানামার স্টপেজ থাকায় সন্ধ্যা রাতে যানজটের কবলে পড়তে হয় শহরবাসীকে। সড়কের সৌন্দর্য্য ও শৃঙ্খলা রক্ষায় সড়ক হতে বাস সরিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে রাখার দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
পরিবহন ও মালিক শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আঞ্চলিক সড়কে চলাচলরত বাসের জন্য বাসটার্মিনাল থাকলেও দূরপাল্লার সড়কে চলাচলরত পরিবহনের জন্য কোনো নির্ধারিত টার্মিনাল নেই। একটি আধুনিক টার্মিনাল দীর্ঘদিনের দাবি থাকলে উপেক্ষিত থাকছে এটি। তাই বাধ্য হয়ে সড়কে গাড়ি রাখতে হয় সংশ্লিষ্টদের।
জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ স¤পাদক জুয়েল মিয়া বলেন, একটি আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য একাধিক সভায় দাবি তোলা হয়েছে। কিছুদিন আগেও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিবহন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এই দাবি জানিয়েছি আমরা। নতুন বাসস্ট্যান্ডের পুকুর ভরাটের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই পুকুরটি ভরাট হলে বাস পার্কিংয়ের সমস্যাটি থাকবে না।
এদিকে একটি দৃষ্টিনন্দন বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট। তিনি বলেন, শীঘ্রই এই কাজ বাস্তবায়িত হবে।