আকরাম উদ্দিন, সীমান্ত হাট থেকে ফিরে ::
তাহিরপুর উপজেলায় সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া লাউড়েরগড় সীমান্ত হাট যেন কাদামাটির গহব্বর। সীমান্ত হাটে প্রবেশের সড়কপথ পাকাকরণ না হওয়ায় এবং হাটের ভেতরে বৃষ্টির পানি জমে বেলে মাটির কাদা গহ্বরে পরিণত হয়েছে। লাউড়েরগড়ের এই সীমান্ত হাট উদ্বোধন হয়েছিল চলতি বছরের ২৪ মে। দীর্ঘ পৌনে তিন মাসেও জমে উঠেনি এই সীমান্ত হাট।
বুধবার দুপুর ১টায় সীমান্ত হাটে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা উত্তর দিকের দোকানঘরের সারিতে বেচাকেনা করছেন। দক্ষিণ দিকের দোকানঘরের সারিতে বেচাকেনা করছেন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বৃষ্টির পানি জমে কাদার সৃষ্টি হওয়ায় হাটে আগত মানুষজন মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এই কারণে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের আগমন কম।
অপরদিকে, সীমান্ত হাটে প্রবেশকারীদের ভিড় ঠেকাতে প্রবেশ টিকেট বিক্রির পদ্ধতি চালু হয়েছে। তিন কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রবেশ টিকেট ৫০ টাকা। নিজস্ব ভিটের ৪৮ দোকানী মালিকের প্রবেশ টিকেট ১০০ টাকা। বাইরের পর্যটকদের প্রবেশ টিকেট ২০০ টাকা। স্থানীয় ৩৫০ জনের প্রবেশ টিকেট ৫০ টাকা করে দেয়া হয়। অতিরিক্ত মানুষজন আসায় সর্বোচ্চ ৫০০ জনকে ৫০ টাকা করে দেয়া নির্দেশনা রয়েছে। টিকেট পদ্ধতি চালু হওয়ায় একদিকে যেমন ভিড় কমেছে, অপরদিকে ক্রেতা ও পর্যটকের আগমন কমেছে।
এই সীমান্ত হাটের প্রবেশ পথ পাকাকরণ না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এতে কাদার সৃষ্টি হয়।
ভারতীয় ব্যবসায়ী আশিষ মল্লিক বলেন, হাটে ক্রেতাদের আগমন কম। তাই বেচাকেনাও কম। হাটের প্রবেশপথ ও ভেতরের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানিতে কাদা জমে থাকে। সীমান্ত হাটের উন্নয়ন জরুরি প্রয়োজন।
এষ মারাক বলেন, হাটের ভেতরে বৃষ্টির পানি জমে কাদার সৃষ্টি হওয়ায় মানুষজন আসছেন না। এতে হাটে মানুষের আগমন কম। পাকাকরণ না হলে কাদা জমে থাকবে সব বর্ষায়।
ময়মনসিংহের পর্যটক আনিসুর রহমান বলেন, লাউড়েরগর সীমান্ত হাটে টিকেট করে ঢুকেছি। কিন্তু প্রবেশপথ ও হাটের ভেতরে যে পরিমাণে বৃষ্টির পানিতে কাদা জমেছে এতে আগত মানুষজন মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন। সীমান্ত হাটের উন্নয়ন খুবই দরকার।
অপর পর্যটক ইমতিয়াজ শামীম বলেন, আমরা বাইরের লোক। এসেছি সীমান্ত হাট দেখতে কিন্তু আমাদের দিতে হয়েছে ২০০ শত টাকা করে। টিকেটের এই হার বেশি হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা বলেন, লাউড়েরগর সীমান্ত হাট উন্নয়নের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। হাটের ভেতরেও সংস্কারের কাজ করা হবে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পরিকল্পনাও আছে আমাদের।