মধ্যনগর প্রতিনিধি ::
মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের মহিষখলা কালী মন্দিরের পশ্চিমপাশে থাকা প্রতিরক্ষা দেয়ালটি হেলে পড়াসহ এটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দেড় শতাধিক বছরের প্রাচীন এই কালী মন্দিরটি স্থানীয় মহিষখলা নদীর ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে। দ্রুত এটি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে মহিষখলা কালীমন্দিরে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের মহিষখলা বাজারে মহিষখলা নদীর তীরঘেঁষে এই কালীমন্দিরটির অবস্থান। এটি প্রতিষ্ঠার বয়স দেড় শতাধিক বছর। প্রতি বছর ফালগুন মাসের প্রথম শনিবার এই কালীমন্দিরে বড় পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ১০-১২আগে সরকারি অর্থায়নে মহিষখলা কালীমন্দিরটির পশ্চিমপাশে মহিষখলা নদীর তীরে প্রায় ৫০ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করা হয়। এই প্রতিরক্ষা দেয়ালটি হেলে পড়ার পাশাপাশি এটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে প্রায়ই উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবল বেগে স্থানীয় মহিষখলা নদীতে ছুটে আসে। এ অবস্থায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে মহিষখলা কালী মন্দিরটি নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষায় প্রতিরক্ষা দেয়াল পুননির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর বাজারের বাসিন্দা সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, মহিষখলা কালীমন্দিরটি অতি প্রাচীন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পুণ্যের আশায় পাঠা, কবুতর, হাঁসসহ বিভিন্ন মানত নিয়ে এখানে ছুটে আসেন। সরকারি অর্থায়নে প্রাচীন এই কালীমন্দিরটি নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরনবী তালুকদার বলেন, কালীমন্দিরের মূলস্থাপনাটি এখন ঝুঁকির মুখে রয়েছে। এবিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
মধ্যনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ধর্মপাশার ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, খোঁজ নিয়ে প্রাচীন এই কালীমন্দিরটি রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।