হাসান বশির ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধামালিয়া নদীর বালু যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের পেটে। অবৈধভাবে নদীর যেখানে সেখানে অবাধে বালু উত্তোলন চলছে। এই চক্রের সদস্যরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না।
অপরদিকে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ধামালিয়া নদী তীরবর্তী গ্রামের মানুষের বসতভিটা, আবাদি জমি ও রাস্তা ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নে ধামালিয়া নদীর কাইতকোণা গ্রামের পিছনে নদী থেকে সাইফুলসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের লোকজন দিয়ে অবাধে বালু তুলে লাখ লাখ টাকার অবৈধ ব্যবসা করছেন। আর বালু তোলার জন্য তারা সরকারের কাছ থেকে কোনো অনুমতিও নেননি। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে কয়েক গ্রামের অনেক পরিবারের বাড়িঘর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই প্রভাবশালী বলে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন তাদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো অভিযোগ দিতেও সাহস পাচ্ছেন না।
স্থানীয় সচেতন বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে প্রকৃতিরও ক্ষতি হচ্ছে। এ ক্ষতি রোধ করতে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তারা জানান, দিন দিন বালুখেকো সিন্ডিকেট আগ্রাসী হয়ে ওঠছে। তাদের এখনই দমন না করলে তারা বালু লুটপাটে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। তারা অবিলম্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন এ চক্রটি বালু তুলে নিচ্ছে। মাঝে মাঝে ছড়ায় পানি এলে সাময়িক বন্ধ রাখে। পরে সুযোগ বুঝে আবার বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে।
অভিযুক্ত সাইফুল আসলাম জানান, নদীর জায়গাটি তাদের। তবে বালু উঠাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাদি উর রহিম জাদিদ জানান, ধামালিয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে সরকারিভাবে কাউকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।