সুনামগঞ্জের পাথরমিশ্রিত বালুমহাল ধোপাজান-চলতি নদীতে বেপরোয়া পাথরখেকো সিন্ডিকেটের অশুভ অপতৎপরতা অব্যাহত আছে এবং ক্রমাগত বাড়ছে তাদের তৎপরতা। নদী থেকে অবৈধ উপায়ে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে প্রশাসনের অজান্তে। উত্তোলিত বালু-পাথর টাস্কফোর্স কমিটির নিয়মানুসারে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। বরং নিলামের কাগজ ব্যবহার করে পাথরের স্তূপ যথাস্থানে রেখেই নতুন করে পাথর তুলে স্তূপাকৃত করা হচ্ছে এবং প্রকারান্তরে চক্র অবৈধভাবে কামিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এতে সরকার রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি নদীর ও নদীর অববাহিকায় প্রাকৃতিক প্রতিবেশের ভারসাম্য হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে।
অপরদিকে, এবার উচ্চ আদালতকেই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আদালতে তথ্য গোপন করে অনিয়মে জড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেট। সরকারি নিলামের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে শতভাগ পাথর অপসারণ করার কথা থাকলেও তথ্যগোপন করে নতুনভাবে আরও সময় বাড়িয়ে নিয়েছে সিন্ডিকেটটি এবং প্রকারান্তরে আদালতকে তাদের অবৈধ কাজ চালানোর সহায়ক ও সহচর করে নিয়েছে। যে-আদালত ন্যায় প্রতিষ্ঠার এখতিয়ারের অধিকারী ও সে-জন্য সমাজে সম্মানিত, বিশেষ চক্র সে-আদালতকে নিজের বৈষয়িক স্বার্থে অবৈধ কাজের সহায়ক ও সহচর করে নিয়েছে।
বিদগ্ধমহল মনে করেন যে, এক্ষেত্রে আইনের অপব্যবহার রোধ জরুরি হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় লোকজনের পক্ষ থেকে গত বুধবার উক্ত লুটতরাজের লাগাম টেনে ধরতে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আল হেলাল। আমরা মনে করি, চলতি নদী থেকে অবৈধ উপায়ে বালু-পাথর উত্তোলনের বিষয়ে অচিরেই বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। প্রশাসনের কাছে সাধারণ মানুষের এই প্রত্যাশা।