রাজন চন্দ ::
তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীতে টোল আদায়ের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চালাচ্ছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে চক্রটির এমন চাঁদাবাজির প্রতিকার চেয়েছেন যাদুকাটার শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুরুতে চাঁদাবাজ চক্রটি প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে যাদুকাটা নদীর লাউড়েরগড়-ঘাগড়া নৌঘাট থেকে খাস কালেকশনের নামে চাঁদা আদায় করত। একপর্যায়ে উচ্চ আদালতের আদেশে গত জুলাই মাসে খাস কালেকশন বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু চক্রটির বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। উপরন্তু টোল আদায় ও খাস কালেকশনের নাম করে বিগত কয়েকমাসে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া চাঁদাবাজ চক্রটি স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না। কথা বললে চলে জোর-জুলুম, মারপিট। এমনকি আটকে রাখা হয় নৌকা, নিয়ে যাওয়া হয় নৌকায় থাকা বিভিন্ন মালামাল।
ভুক্তভোগী শ্রমিক ও নৌ-মালিকদের অভিযোগ, এ চাঁদাবাজ চক্রের লোকজন জেলা পরিষদের এক সদস্য এবং এক যুবলীগ নেতার অনুসারী। এ দুই নেতার প্রত্যক্ষ মদদে এসব লোকেরা যাদুকাটা নদীতে টোল আদায়ের নাম করে চাঁদাবাজির মত অপকর্ম চালাচ্ছে।
চাঁদাবাজির শিকার নদী-বাংলা নৌকার সুকানি সেলিম মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, যাদুকাটা নদীর বেশ কয়েকটি জায়গায় টোল দিতে হয়। এরমধ্যে মিয়ারচর খেয়াঘাট সংলগ্ন এক জায়গায় ২ হাজার টাকা দেয়ার পর ঘাগড়া-লাউড়েরগড় নৌঘাটে ৪ হাজার টাকা টোল দাবি করে। টোল দিতে অপারগতা জানালে যুবলীগ নেতা রিপনের লোক বলে আমাকে হুমকি দেয় তারা। পরে আমি ২ হাজার টাকা দিয়েছি কিন্তু তারা আমাকে কোনো রশিদ দেয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, ঘাগড়া-লাউড়েরগড় নৌঘাটে আদালতের আদেশে টোল আদায় বন্ধ রয়েছে। কেউ যদি এর নাম করে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।