গত বুধবাবের (৩ আগস্ট ২০২৩ ) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল, ‘শিল্পীদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পেনশন-ভাতা দেওয়ার দাবি’। এজন্য মঙ্গলবার (১ আগস্ট) শহরের আলফাত স্কয়ারে একটি মানববন্ধন করা হয়েছে।
দেশের বর্তমান উন্নয়ন-অগ্রগতির নিরিখে উপরোক্ত দাবি কার্যকর করা জাতীয় কর্তব্য বলে বিবেচিত হতেই পারে, কেন না এই দেশ আর গরিব দেশের পর্যায়ে নেই। উন্নত দেশে যেমন শারীরিক কারণেই কাজ থেকে অবসর নেওয়া ষাটোর্ধ নাগরিকদের সরকারিভাবে অবসর ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় তেমনি ব্যবস্থা আমাদের দেশেও করা উচিত এবং আমাদের সদাশয় সরকার ইতোমধ্যে সেটা সীমিত ক্ষেত্রে হলেও শুরুর করেছেন। শুরু করা এই কাজটিকে পূর্ণতা দান একটি
জাতীয় কর্তব্য, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা কেবল বলতে চাই, সরকারি ভাতা প্রদানের সীমিতাবস্থায় কার্যকর কর্মপ্রকল্পটিকে পূর্ণতা দান করা হোক, কর্মপ্রকল্পটিকে আরও বিস্তৃত করা হোক। অর্থাৎ সকল ষাটোর্ধ বয়সের নাগরিকসহ বেকার নাগরিকদের কাজ দেওয়া নতুবা বেকারভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, দেশের ভেতরে সংখ্যায় অগণিত শিল্প¯্রষ্টা শিল্পের ও সৃষ্টির নেশায় মশগুল হয়ে তাদের কর্মক্ষম জীবনের সোনালী সময় হারিয়ে ফেলে বর্তমানে মূল্যস্ফীতির কবলে পড়ে অভাব-অনটনের নির্মম নিপীড়নে অসহনীয় অবস্থায় দিনাদিপাত করছেন। কণ্ঠ, তুলি ও কলম দিয়ে কাজ করে তাঁরা দেশের সাংস্কৃতিক শরীরে রক্তপ্রবাহ সচল রেখেছেন, কিন্তু বিনিময়ে তাঁদের জীবনে আয়রোজগার তেমন আগেও হতো না এখনও হয় না। ফলে জীবনব্যাপী নির্বিত্ত ও অপর্যাপ্ততার চাপে পড়ে তাঁরা নিত্যদিন কেবল চিড়েচেপ্টাই হয়ে গেছেন, তেমন কোনও ধনপ্রাপ্তি তাঁদের জীবনে ঘটেনি, যাতে জীবনটা হেসেখেলে স্বচ্ছন্দে কাটানো যায়। সরকারের প্রতি প্রত্যাশা রইল, জাতীয় সংস্কৃতির রক্তপ্রবাহ সচল রাখার শিল্পী-কারিগরদের জীবন সচল রাখার ব্যবস্থা করুন