1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার কড়া সমালোচনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

  • আপডেট সময় বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কড়া সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। দেশগুলো মানবাধিকার ও আইনের শাসনের কথা বললেও তারা ‘বেআইনি লোককে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ১৬ সদস্যের নামে ১৬টি গাছ লাগানো উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি এসময় বলেন, এখনও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে আছে। আমরা দুটি কেস জানি। একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছে এবং আরেকজন কানাডায় আছে। বাকি তিন জনের খবর আমরা জানি না।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা যে দেশে রয়েছে তারা মানবিকতার কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, কিন্তু খুনিদের আশ্রয় দেওয়াটা তাদের জন্য লজ্জার বিষয়- উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা যে কথাগুলো বলে তার সঙ্গে এটা মেলে না। খুনিগুলো দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে ওইসব সরকারের প্রটেকশনে, এটি খুবই দুঃখজনক এবং হতাশাজনক, বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের জানিয়েছি এরা কী ধরনের খুনি। তারা জানতে চেয়েছে। খুনিদের বিরুদ্ধে বিচার হয়েছে এবং বিচারের সামগ্রিক প্রক্রিয়া আমরা তাদের জানিয়েছি। এত কিছু করার পরেও তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য এখনও আমাদের হাতে তুলে দেয়নি। এটি ওইসব দেশের জন্য লজ্জা এবং আমাদের জন্য দুঃখ। আমরা আশা করি তাদের বিবেক বাড়বে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নুর চৌধুরী কানাডায় আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন বলে জানা যায়।
আমেরিকা কোনোদিন বলে না যে তারা বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত পাঠাবে না। কিন্তু তারা বলেছে যে এটি কোর্টে আছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস আমাদের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিল, কীভাবে বিচার হয়েছিল সেটির প্রক্রিয়া জানতে চেয়েছিল। আমাদের বিচারটি খুব স্বচ্ছ হয়েছে এবং আমরা সব তথ্য জানিয়েছি, জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আমরা যখনই সেক্রেটারি ব্লিনকেনকে (যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেন) জিজ্ঞাসা করি কেসটার অবস্থা কী, তারা তখন বলে এটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে। এই করে তারা পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। আবার অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের সঙ্গে আমাদের কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয় না।
এটি খুবই দুঃখজনক যে আমেরিকার মতো দেশ যেখানে আইনের শাসন বলবৎ আছে, যারা আইনের শাসনের জন্য সবসময় সোচ্চার – এরকম একটি দেশ একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রাখছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা দেশে ফেরত আসার পরে ক্ষমা চাইতে পারে। কিন্তু কানাডা বলে, যেসব দেশে ফাঁসির হুকুম আছে সেসব দেশে তারা পাঠাবে না। আবার খুনির অবস্থান কী, অর্থাৎ সে কানাডার নাগরিক কিনা, সেটিও তারা ঠিক করে বলে না।
তিনি বলেন, কোর্ট যদিও তাদের আদেশ করেছে… কিন্তু সেটি তারা বলে না। সেটি তারা লুকিয়ে রেখেছে, প্রটেকশন দিয়ে রেখেছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com