‘
স্বাস্থ্যমন্ত্রী দোয়ারাবাজারে উপজেলার ৩১ শয্যার হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণে নির্মিত নতুন ভবন উদ্বোধন করে গেছেন। অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “এবছর বন্যা ও বৃষ্টি বেশি ছিল। যার কারণে মশা বেড়েছে। ডেঙ্গু রোগীও বৃদ্ধি পেয়েছে। মশা নিধন করবেন ডেঙ্গু অটোমেটিকলি কমে আসবে। … সরকার ডেঙ্গুর চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জেলা, উপজেলা থেকে শুরু করে বড় বড় শহরে এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সব জায়গায়ই ডেঙ্গুর জন্য আলাদা বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইনের ব্যবস্থা আছে। ডাক্তর, নার্সদের ডেঙ্গুর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে এবং এক সময় বাংলাদেশ থেকে ডেঙ্গু নির্মূল হয়ে যাবে।”
সরকারের এবংবিধ প্রস্তুতির কথা সকলেই জানেন। কিন্তু অভিজ্ঞমহলের ধারণা ‘করিবকর্মামতো’ প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার জন্য নির্ধারিত সরকারি নীতি মাঠ পর্যায়ে কার্যকর হয় না যথাযথভাবে। এবংবিধ অনিয়ম এই দেশের অলিখিত নিয়মে পর্যবসিত হয়ে গেছে। সমাজব্যবস্থাকে পুরোপুরি জনগণের নিয়ন্ত্রণাধীন গণতন্ত্রায়নে বদলে দিতে না পারলে এই অলিখিত নিয়মের দাস হয়ে বেঁচে থাকতে হবে জনগণকে। এটাই সত্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে আপাতত সমাজব্যবস্থাকে বদলে দেবার পথ অনুসরণ করা ছাড়া অন্য কীছু করার নেই। এবার বন্যা ও বৃষ্টি বেশি না হলেও বেশি হওয়ার কারণেই ডেঙ্গুও বেশি হয়েছে, এমন অভিমত মেনে নিতে হবে। এর পেছনে কর্তৃপক্ষীয় কোনও গাফিলতিকে চিহ্নিত করা যাবে না এবং পরিস্থিতি এমন যে, এর বেশি কীছু এমনকি আকারে ইঙ্গিতেও কাউকে বলা যাবে না। কারণ ‘বস ইজ অলওয়েজ রাইট’ এই ইংরেজি আপ্তবাক্যটির মর্মার্থ উপনিবেশিত মানসতায়পুষ্ট এই সমাজচেতনায় খুবই মান্যতা পেয়ে আসছে। কিন্তু বোধ করি আমাদের পৌরসভাকে বলা যায়। আমরা পুরবাসীদের পক্ষ থেকে আমাদের পৌরসভাকে মশক নিধনের কার্যকর ও ফলপ্রসূ অভিযান শুরু করার দাবি জানাচ্ছি। মন্ত্রীর ‘মশা নিধন করবেন ডেঙ্গু অটোমেটিকলি কমে আসবে।’ কথাটিকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।