শাল্লা প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তা বলেছেন, শাল্লা উপজেলাটি অত্যন্ত দুর্গম। এই উপজেলায় কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয়নি। একটি সেতু অথবা রাস্তার অভাবে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাতায়াত করতে কষ্ট করে। যা খুবই দুঃখজনক। শাল্লায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর কোটিকোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। অথচ এই উন্নয়নের ধারা দেখে আমি অবাক হয়েছি! কেনো উন্নয়ন হয় না? যারা শাল্লার উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে- এখন থেকে তাদের চিহ্নিত করে রাখবেন আপনারা। আপনাদের সকল দুঃখ-দুর্দশার কথা এখন থেকে আমাকে বলবেন। উন্নয়ন কোথায় হয়নি তাও আমাকে বলবেন। আমি আপনাদের সুখেদুঃখে পাশে ছিলাম, থাকব। তিনি বলেন, দিরাই-শাল্লার রাস্তার কাজও চলমান রয়েছে। ফলে এই দুঃখ আর বেশিদিন আপনাদের ভোগ করতে হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা তা অব্যাহত রাখতে আগামীতেও নৌকায় ভোট দিবেন।
এমপি জয়া সেনগুপ্তা বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকার কারণে আপনাদের কাছে আসতে পারিনি। এজন্যে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আামাদের সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে কাজ করতে হবে। দিরাই-শাল্লায় হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে। এই বন্ধন যেনো আমাদের মাঝে অটুট থাকে সেদিকে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় উপজেলার আনন্দপুর বাজারে হবিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও বিকাশ চক্রবর্তী এবং রথীন্দ্র চন্দ্র সরকারের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দিরাই উপজেলা আ.লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, সহ সভাপতি জগদীশ সামন্ত, সাধারণ স¤পাদক প্রদীপ রায়, সাবেক সাংগঠনিক স¤পাদক অ্যাডভোকেট অভিরাম তালুকদার, পৌর মেয়র বিশ্বজিৎ রায়, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রিপা সিংহা, শাল্লা উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি ও শাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার মিয়া, যুগ্ম স¤পাদক এবং হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস, শাল্লা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গণি মিয়া, উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি কাজল কান্তি চৌধুরী, হবিবপুর ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার বিশ্বরূপ দাস, ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবলু রায় প্রমুখ। এসময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সমাজের নানাশ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।