স্টাফ রিপোর্টার ::
জন্মের পর থেকেই শুনছি, আর বই-পত্রিকায় পড়ে আসছি বৌলাই নদী। সেই নদীর নাম তাহিরপুর থানার সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ড সাইনবোর্ড টানিয়ে লিখে দিল ‘বাউলাই নদী’। এছাড়াও পাটলাই নদীর নাম ও লেখা ‘পাটনাই’ – এমনি মন্তব্য করেন ৭০ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির। তিনি আরও বলেন, শিক্ষিত লোকজন ও যারা দায়িত্বশীল রয়েছেন তাদের এমন ভুল মানুষ ভালভাবে নিচ্ছে না।
সম্প্রতি তাহিরপুর থানার সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ড বৌলাই নদীর নাম ‘বাউলাই’ লিখে সাইনবোর্ড টাঙিয়েছে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সচেতনমহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাহিরপুর থানার সামনে সেতু পার হয়ে নদীর উত্তর দিকে তাহিরপুর বাদাঘাট একটি সাইনবোর্ডে লেখা আছে ‘বৌলাই নদী, পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ’। অপরদিকে তাহিরপুর থানার সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ড বৌলাই নদীর নাম ‘বাউলাই’ লিখে সাইনবোর্ড টাঙিয়েছে। কোনটি সঠিক আর কোনটি ভুল এ নিয়ে শিক্ষার্থীসহ সর্বমহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এনিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর জাহির ক্ষোভের সাথে বলেন, যারা লিখেছেন তারা ভুল লিখেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ হবে এই লেখাটি মুছে সঠিক আর শুদ্ধ নাম বৌলাই নদী লিখা। বাউলাই নদী লেখাটি দৃষ্টিকটু।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তোজাম্মিল হক নাসরুম বলেন, তাহিরপুর উপজেলায় বিভিন্ন অসংগতি নিয়ে কথা বলার লোক যেমন দিন দিন কমে যাচ্ছে, তেমনি তাহিরপুরে বিভিন্ন অসংগতি দিন দিন বেড়েই চলেছে। আসুন তাহিরপুরের প্রশ্নে আমরা একসাথে কাজ করি। দুটি নদী বৌলাই ও পাটলাই এখন পানি উন্নয়ন বোর্ড সাইনবোর্ডে লিখেছে বৌলাই এর পরিবর্তে বাউলাই আর পাটলাই পরিবর্তে পাটনাই। যা বেমানান।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, নদীর নাম লেখায় ভুল হলে দ্রুত সংশোধন করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, তাহিরপুর থানার সম্মুখ দিয়ে যে নদী তার নাম বৌলাই নদী। সাইনবোর্ডে বাউলাই নদী লেখা হয়েছে। এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।