স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে স্বামী-স্ত্রীর চার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। এ ঘটনায় ২৪ জুলাই সোমবার দুপুরে আহতের বড়ভাই সফল আলী (৫১) বাদী হয়ে উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের বিন্নারবন্দ গ্রামের মৃত গিদু মিয়ার ছেলে রইছ মিয়া (৪৫), তার ভাই সুকু মিয়া (৫২) ও মঙ্গল মিয়া (৬০) সহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে তাহিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গত ২৩ জুলাই রোববার সন্ধ্যা ৭টার সময় উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন ট্যাকেরঘাট গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এঘটনায় আহতরা হলেন আব্দুল গফুর (৪৮) ও তার স্ত্রী হাসেনা খাতুন (৩৫)। আহত আব্দুল গফুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের বিন্নারবন্দ গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বিন্নারবন্দ গ্রামে মৃত আব্দুল গফুর ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মৃত গিদু মিয়ার ছেলে রইছ মিয়ার পরিবারের লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত রোববার সন্ধ্যায় ট্যাকেরঘাট বাজার সংলগ্ন আব্দুল গফুরের বসতবাড়ি লাগোয়া রাস্তায় প্রতিপক্ষ রইছ মিয়া তার ভাই সুকু মিয়া ও মঙ্গল মিয়াসহ ১৫/২০ জনের একটি দল রাম দা, রড, লাঠি ও রোলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ওৎ পেতে থাকে। এ সময় আব্দুল গফুর বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষ রইছ মিয়া তার ভাই সুকু মিয়া ও মঙ্গল মিয়া, ইদ্রিস আলী, ফরসু মিয়া, ছায়েদ মিয়া ও হাসু মিয়াসহ ১৫/২০ জন তার উপর হামলা চালায়। এ সময় আব্দুল গফুরকে বেধড়ক পিটিয়ে দুই পা ও বাম হাত ভেঙে ফেলে হামলাকারীরা। তার চিৎকারে তার স্ত্রী হাসেনা খাতুন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাকেও পিটিয়ে পা ভেঙে রাস্তায় ফেলে চলে যায়।
মামলার বাদী সফল আলী জানান, আমি ন্যায় বিচার পাবার জন্য আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।