শহীদনূর আহমেদ ::
শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জেও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে পাঠ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন শিক্ষকরা। সোমবার সকাল থেকে ১২ উপজেলার ২৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
দুই দিনের কর্মবিরতি পালনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখে দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। কর্মসূচির শেষ দিনে কেন্দ্রীয়ভাবে অংশ নিতে রাজধানীমুখী হবেন জেলার শিক্ষক সমাজ।
শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি আর বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে দুই নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে। শিক্ষা কার্যক্রম একই হলেও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সরকার বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছেন। এটি চরম বৈষম্য বলে দাবি আন্দোলনরত শিক্ষকরা। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ আরো কয়েকটি দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছিলেন তারা। শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি উপেক্ষিত হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে সারাদেশের স্কুলে তালা ঝুলানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকল শিক্ষক ঢাকায় আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নিবে।
সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা বেগম বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এই বেতন কাঠামোর মধ্যে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা চাইলেই শিক্ষকদের এই দাবি বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি সুনামগঞ্জ জেলার শাখার সভাপতি ও এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইনসান মিঞা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একযোগে প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীও বিগত সময়ে তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। এমিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষকরা এ থেকে বঞ্চিত থাকবে কেন? দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি করা হচ্ছে। আমরা চাই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সরকার আমাদের দাবিটি মেনে নিবেন।
বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন বলেন, এক শিক্ষাব্যবস্থা দুই নিয়ম হতে পারে না। আমাদের দাবি এখন একটাই শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ চাই। দাবি না মানা হলে কঠোর কর্মসূচির ডাক দেয়া হবে।
এদিকে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে পুলিশ দ্বারা শিক্ষকদের ওপর ‘হামলা’র ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সুনামগঞ্জের শিক্ষক নেতারা।