স্টাফ রিপোর্টার ::
হাইকোর্টের নির্দেশনায় সুনামগঞ্জ শহরের খাল উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা।
রবিবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানটি বিকাল ৫টা পর্যন্ত শহরের উত্তর আরপিননগর ও কালিবাড়ি এলাকায় চলে। এ সময় খালের উপর থাকা বহুতল ভবন, দোকানপাট, স্থায়ী স্থাপনা এস্কেভেটর দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। উচ্ছেদ অভিযানের সময় কামারখালের অনেক দখলদারকে দেখা যায় নিজ দায়িত্বে স্থাপনা ভেঙ্গে মালামাল সরিয়ে নিতে।
জানা যায়, কামারখালে ৮৪ জন অবৈধ দখলদার রয়েছে। দখলদারদের তালিকায় ব্যক্তি মালিকানায় বহুতল ভবন, ঘরবাড়ি, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইতোমধ্যে দখলদারদের তালিকা করে খালের সীমানা চিহ্নিত নির্ধারণ করেছে প্রশাসন। কামারখালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর ধারাবাহিকভাবে বাকি চারখাল যথাক্রমে তেঘরিয়া খাল, বড়পাড়া খাল, বলাইখালি খাল, নলুয়ারখালি খালে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র নাদের বখত।
তিনি জানান, শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল শহরের পাঁচটি খাল উদ্ধার করার। পৌরবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে আর মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রতিপালনে খালে অবৈধ স্থাপন উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। প্রথমে কামারখাল উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে বাকি খালগুলোও দখলমুক্ত করা হবে।
উদ্ধার কার্যক্রমে শতাধিক শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সদর থানা পুলিশ খাল উদ্ধার কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে।